রাজনৈতিক তরজার মাঝেই মূল্যবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির নাগপাশে কার্যত বেষ্টিত পাকিস্তান (Pakistan)। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহার্য সামগ্রীর দাম আকাশ ছুঁয়েছে ভারতের প্রতিবেশী এই রাষ্ট্রে, যার কোনো সদুত্তর দিতে ব্যর্থ ইমরান খান (Imran Khan) সরকার। বরং প্রশ্নের উত্তরে অসংবেদনশীলের মতো উত্তর দিতে শোনা যাচ্ছে পাক প্রধানমন্ত্রীকে।
শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) মত পাকিস্তানেও খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়ছে চড়চড় করে। ইতিমধ্যেই সেখানে এক লিটার দুধের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা। চিনিও প্রতি কেজিতে সেঞ্চুরি করেছে। আটার কিলো ৭২ টাকা। এক ডজন ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪১ টাকা। আলুর দাম প্রতি কেজিতে বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা। ১ কেজি পিঁয়াজ এর মূল্য ৫২ টাকা। এছাড়াও টমেটোর মূল্য প্রতি কেজিতে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। যা দেখে স্পষ্ট, পাকিস্তানের বর্তমান দুর্দশাগ্রস্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি।
ইতিমধ্যেই ইমরান সরকারের ব্যর্থতাকে উদ্ধৃত করে পাক সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধীরা। যদিও অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবে কার্যত শিশুসুলভ উত্তর দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আলু-টমেটোর দাম জানার জন্য তিনি রাজনীতিতে যোগ দেননি। দেশের তরুণ প্রজন্মের স্বার্থে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দেশের এমন সংকটজনক অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাসের বদলে এমন উত্তর পেয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। এই অবস্থায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে দেশবাসীকে অন্ধকারে রাখার জন্য চেনা পথে হেঁটেই ফের ভারতের বিরোধিতা করে ‘পাকিস্তানে চলে যাওয়া ভারতের মিসাইল প্রসঙ্গ’-কেই হাতিয়ার করেছেন ইমরান।