প্রায় দু মাস হতে চলল রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি এখনো ঠিক হয়নি। এই একই পরিস্থিতিতে এবারে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডকে কড়া হুঁশিয়ারি দিল রাশিয়া। জানা গিয়েছে, এই দুটি দেশকে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, যদি এই দুটি দেশ ন্যাটোর সঙ্গে যোগদান করে, তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া। এর সাথেই বাল্টিক সাগর স্থল এবং নৌ ও বিমান বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রেমলিন।
নিরাপত্তা পরিষদের সহ-সভাপতি দিমিত্রি মেদভেদেভকে (Dimitri Medvedev) এই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত বাল্টিক নিয়ে আর কোনো রকম আলোচনা করা হবে না। ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেই মনে করছেন, এই হুঁশিয়ারি মাধ্যমে রাশিয়া পারমাণবিক হামলা করার ইঙ্গিত দিয়ে দিল সারা দেশকে। পাশাপাশি হাইপারসনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং ইস্কান্দার মিসাইল ওই অঞ্চলে মোতায়েন করতে শুরু করতে পারে রাশিয়া।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন জানিয়ে দিয়েছিল, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরে পরিস্থিতি বিচার করে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে শুরু করেছে তারা। যদিও রাশিয়ার উত্তর পশ্চিম প্রান্তের এই দুটি প্রতিবেশী দেশ এখনো ন্যাটোর সঙ্গে যুক্ত হয়নি এতদিন। তবে এবার এই দুটি দেশ তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় সমস্যায় পড়তে পারে রাশিয়া। এই কারণেই মূলত ক্ষুব্ধ তারা। উল্লেখ্য, রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার এর একটি সীমান্ত রেখা রয়েছে। এই মুহূর্তে ন্যাটোর সদস্য কোন দেশের সঙ্গে পুতিনের এত বড় সীমান্ত রেখার নেই। ফলে ফিনল্যান্ড যদি ন্যাটোর সদস্য হয় তাহলে রাশিয়ার চিন্তা বাড়তে পারে। অন্যদিকে আবার সুইডেন এই বিষয় নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা শুরু করেছে। যদি শান্তিপ্রিয় সুইডেন ন্যাটোর সঙ্গে যোগদান করে, তাহলে রাশিয়ার উপরে চাপ বাড়বে। এমনিতেই ইউক্রেন দখল করতে পারেনি বলে রাশিয়া অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তার মধ্যে যদি এই দুটি প্রতিবেশী দেশ আবার ন্যাটোর সঙ্গে যোগদান করে তাহলে রাশিয়ার সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না।