রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) সংকটের মধ্যে আমেরিকার অবস্থান কী? আমেরিকা (America) কি ইউক্রেনের পাশে থেকে সেনা পাঠাবে? ইউক্রেনের সঙ্গে যৌথ প্রয়াসে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবে আমেরিকা? এমনই কয়েকটি প্রশ্ন দিন কয়েক ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছিল নানা মহলে। বুধবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তাঁদের সংসদীয় বৈঠকে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করে দিলেন। জানিয়ে দিলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি অস্ত্র ধরবে না আমেরিকা, তবে ন্যাটো (NATO) সদস্যের সমস্ত দেশগুলির পাশে পূর্ণ সমর্থন থাকবে আমেরিকার।
এদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের বন্ধু ন্যাটো সদস্যের দেশগুলি সম্মিলিত শক্তি দিয়ে ন্যাটো অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করবে। ইউক্রেনীয়রা সাহসের সঙ্গে লড়াই করছে। পুতিন যুদ্ধক্ষেত্রে লাভবান হতে পারেন, তবে তাঁকে এর জন্য দীর্ঘ মেয়াদী উচ্চ মূল্য দিতে হবে।" তিনি আরও বলেন, আমেরিকান সৈন্য রাশিয়া ইউক্রেনের মাটিতে নামবে না। তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যেকোন সিদ্ধান্তের দিকে নজর থাকবে আমেরিকার।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের মাঝেই তৈরি হয়েছিল আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কূটনৈতিক সংকট। রাষ্ট্রসংঘে আমেরিকার নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়। আমেরিকার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশ আমেরিকার সেই প্রস্তাবে ভোট প্রদান করে, যদিও ভারত, চিন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকে। এরপরেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তৈরি হয় তীব্র চাপানউতোর। এরপর আমেরিকার ভূমিকা কী, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে আন্তর্জাতিক মহলে। আর তার ভিত্তিতেই বুধবার আমেরিকার তরফে এমন বার্তা দেওয়া হল বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গিয়ে এদিন কড়া ভাষায় বাইডেন বলেন, "পুতিন হয়তো ট্যাঙ্ক দিয়ে গোটা কিয়েভ ঘিরে ফেলবে কিন্তু ইউক্রেনবাসীদের হৃদয় জিততে পারবে কি? বিশ্বের কাছে তিনি কী জবাব দেবেন?"