১৬ দিন পরও রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) সংকট অব্যাহত। এবার যুদ্ধক্ষেত্র নয়, সরাসরি আক্রমণ ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের উপর। সম্প্রতি কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রুশ সেনা সরাসরি ইউক্রেনের হাসপাতাল, স্কুল, পরীক্ষাগার, দোকান-বাজারে আক্রমণ চালাচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ করল বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
রাশিয়ার এটি নয়া কৌশল বলছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। ইউক্রেনের নাগরিকদের উপর আক্রমণ চালিয়ে সেদেশের প্রশাসনের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করতে চাইছে পুতিন বাহিনী। ইউক্রেনের স্পষ্ট অভিযোগ, ইতিমধ্যেই দেশে পানীয় জল, খাদ্য-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাল দেখা দিয়েছে। রুশ সেনা যেভাবে হাসপাতালগুলোর উপর আক্রমণ শানাচ্ছে, তাতে অচিরেই সেদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। এর মধ্যেই সাধারণ নাগরিকদের উপর আক্রমণ চালিয়ে ইউক্রেনের জেলেনস্কির সরকারকে চাপে রাখতে নয়া কৌশল নিয়েছে পুতিন বাহিনী।
বিভিন্ন সূত্রের খবর, ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি স্কুলে আক্রমণ হয়েছে। বহুতল, জুতোর কারখানা, হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করেছে রাশিয়া। নিহত হয়েছেন অসংখ্য সাধারণ নাগরিক। রাষ্ট্রসংঘের দাবি, এই ধরণের হামলায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। রাশিয়াকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জবাব দিতে হবে। এদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার জানিয়েছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের উপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে, তার মূল্য চোকাতে হবে। রাশিয়া যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মদত না দেয়, তাহলে এর পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে।
এদিকে ১৬ দিন অতিক্রান্ত হলেও রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কোন সুরাহা হয়নি। বেশ কয়েকবার দু'দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসেছেন, কিন্তু কোন রফাসূত্র পাওয়া যায়নি। এদিকে যুদ্ধদীর্ণ ইউক্রেনে দিন দিন নানা ক্ষেত্রে সংকট ক্রমশ বাড়ছে। পানীয় জল এবং খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ইউক্রেনের সামগ্রিক পরিস্থিতি যে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।