পুতিন (Vladymir Putin) জেলেনস্কির (Volodymyr Zelenskyy) আলোচনা সম্ভব, হ্যাঁ মাসব্যাপী চলতে থাকা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসানের এক এবং একমাত্র উপায় বৈঠক। আর সেটারই ইঙ্গিত দিলেন ইউক্রেনের আলোচক ডেভিড আরাখামিয়া (David Arakhamia)। যদিও জেলেনস্কি প্রথম থেকেই বৈঠকে বসার পক্ষে ছিলেন, তবে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠক করতে চাননি।
রাশিয়ান সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভের কাছে অপারেশন কমিয়ে দেবে। উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন এই বিষয়টিকে 'বিশ্বস্ততার প্রতীক' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ফোমিনের কথায়, "পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোর জন্য এবং আরও আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত তৈরি করতে সম্মতি এবং (একটি) চুক্তি স্বাক্ষরের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য, একটি বড় ব্যবধানে, কিয়েভ এবং চেরনিহিভের দিকনির্দেশে সামরিক কার্যকলাপ হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" যদিও ইউক্রেন জানিয়েছে, এই প্রস্তাবের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, ইউক্রেন যেন ন্যাটো (NATO) বা অন্য কোনো জোটে অংশগ্রহণ না করে সেই বিষয়টিও আগে নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের (UN) আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক দেশটির পারমাণবিক স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে 'জরুরী প্রযুক্তিগত সহায়তা' প্রদানের বিষয়ে সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার ইউক্রেনে পৌঁছেছেন। রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি বলেছেন যে তাঁর লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের পারমাণবিক সাইটগুলির জন্য 'তাৎক্ষণিক সুরক্ষা এবং সুরক্ষা সহায়তা শুরু করা।' ইউক্রেনের চারটি সক্রিয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৫ টি পারমাণবিক চুল্লী রয়েছে এবং এটি ১৯৮৬ সালের পারমাণবিক বিপর্যয়ের স্থান, চেরনোবিল প্ল্যান্টের আবাসস্থল। রাশিয়ান বাহিনী চেরনোবিল এবং জাপোরিঝিয়াতে বৃহত্তম সক্রিয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।