মেলেনি বিশ্বব্যাঙ্কের অর্থসাহায্য, পদে পদে এসেছে প্রতিকূলতা। শত বাধা উতরে বাংলাদেশ করে দেখাল। পদ্মা ব্রিজ নির্মাণের মধ্য প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে তৈরি হল নতুন ইতিহাস।
সময়টা ২০১০ সাল। পদ্মার উপর দোতলা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের। উপরে চার লেনের চওড়া রাস্তা, নীচে রেলপথ। পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরুর তোড়জোড়। ২০১২ সালে সব ঠিকঠাক চললেও আকস্মিক ছন্দপতন। প্রকল্প থেকে সরে গেল বিশ্বব্যাঙ্ক। 'কুছ পরোয়া নেই', নিজেদের স্বপ্ন নিজেদের পূরণ করার সংকল্প। আর ২০১৫ সালে সেই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু। শনিবার বাংলাদেশ তৈরি করল এক নতুন ইতিহাস 'পদ্মা ব্রিজ'।

একনজরে পদ্মা ব্রিজ :
● নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর।
● দৈর্ঘ্যে ৬.১৫ কিলোমিটার, প্রস্থে ১৮.১০ মিটার।
● মোট পিলারের সংখ্যা ৪২ টি, স্প্যান সংখ্যা ৪১ টি।
● উপরে চার লেনের চওড়া রাস্তা, নীচে একক রেলপথ।
● সেতুটি নির্মাণ করেছেন প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক।
● আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
● উদ্বোধন ২৫ জুন, ২০২২।


পদ্মা সেতু তৈরি হওয়ায় এক ধাক্কায় কলকাতা-ঢাকার দূরত্ব কমে গেল ১৫০ কিলোমিটার। সড়ক পথে ঘন্টা চারেকের পথ। কেবল কলকাতা-ঢাকার দূরত্ব কমে যাওয়া নয়, বঙ্গোপসাগরের কোলে থাকা কয়েকটি বন্দরের দূরত্বও কমে গেল। হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে তৈরি হল এক নতুন ইতিহাস।