পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imaran Khan) এবার অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দিল পাকিস্তানের (Pakistan) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। এছাড়াও পাক সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে যে ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। তাই আগামী শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে ইমরান খানকে।
আসলে গত রবিবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীজোটের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটির কথা থাকলেও তা খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। তিনি যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছিলেন যে বিদেশি শক্তির মদতে আনা অনাস্থা প্রস্তাব সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়াও তিনি সংবিধানের ৫ নম্বর ধারা মেনে ভোটাভুটি হতে দেননি। এই ঘটনার পরপরই ইমরান খানের নির্দেশে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আলভী। আর তাতেই প্রতিবাদমুখর হয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা।
গত সোমবার পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে এই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছে। এরপর শুক্রবার রাতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন, "পাকিস্তানের সংবিধানের ৯৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী একবার প্রক্রিয়া শুরুর পর আস্থা বা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি করা কেউ বন্ধ করতে পারবেন না। সেই ক্ষমতা স্পিকার বা প্রেসিডেন্ট কারোর নেই। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রেসিডেন্টকে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ দিতে পারেন না। এক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকারের পদক্ষেপ সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ছিল।"