বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর ক্ষেত্রে আর্থিক মদতপুষ্ট দেশগুলির উপর নজরদারি চালায় ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য আর্থিক মদতপুষ্ট দেশগুলির তালিকা প্রকাশ করেন তাঁরা। তবে নতুন সেই তালিকায়তেও ‘গ্রে লিস্টেই’ আছে পাকিস্তান।
এবিষয়ে এফএটিএফ অধ্যক্ষ মার্কাস প্লেয়ার জানান, নতুন এই তালিকায় গ্রে লিস্টে স্থান পেয়েছে আরও তিন রাষ্ট্র। সেগুলি হল, তুর্কি, জর্ডন এবং মালি। তবে প্লেয়ারের মুখে শোনা গেল পাকিস্তানকে নিয়ে আশার কথা। তিনি জানান, বর্তমানে পাকিস্তান যথেষ্ট সহযোগিতা করছে তাঁদের সাথে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, আপাতত পাকিস্তানকে ব্ল্যাকলিস্ট করার কোনও সম্ভবনা নেই।
প্রসঙ্গত, এবছরের জুন মাসেও পাকিস্তানকে গ্রে লিস্টে রেখেছিল এফএটিএফ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা দেশের অর্থ পাচারকে নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ। আর এই পাচার হওয়া অর্থই পরবর্তীকালে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম জারি রাখতে সহায়তা করে। সে সময় এফএটিএফ দুই কুখ্যাত পাকিস্তানি জঙ্গি হাফিজ সইদ এবং মাসুদ আজহারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যও ইসলামাবাদের কাছে সওয়াল করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকেই সংস্থাটির গ্রে লিস্টে রয়েছে পাকিস্তান। এফএটিএফের নিয়মাবলী লঙ্ঘন করার জন্য তাদের রয়ে যেতে হয়েছে গ্রে লিস্টে। আর এই গ্রে লিস্টে থাকার কারনে পাকিস্তানের কপালে বঞ্চনাও কম জোটেনা। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, এডিবির মতো আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলির থেকে অনুদান পাওয়া বেশ দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে পাকিস্তানের জন্য।
তবে গ্রে লিস্টে থাকলেও চিন্তা রয়েই যায় পাকিস্তানের জন্য। কারন, ভবিষ্যতে এরকম চলতে থাকলে যে কোনও দিন পাকিস্তানের জায়গা হতে পারে এফএটিএফের ব্ল্যাকলিস্টে। যদিও আপাতভাবে চিন, তুর্কি এবং মালয়শিয়ার বদান্যতায় ব্ল্যাকলিস্ট থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছে পাকিস্তান।