পাকিস্তানও (Pakistan) কি তাহলে শ্রীলঙ্কার পথে হাঁটছে? নাকি শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট আঁচ করেই আগেভাগে সতর্ক থাকছে পাকিস্তান? অন্তত পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠনের পর সেদেশের অর্থনৈতিক সংকট দূর করা অন্যতম একটি বড় চ্যালেঞ্জ তো বটেই।
সে দেশে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি ঘাটতি (Power Crisis) নিয়ন্ত্রণে আনতে নতুন সরকার এবার শিল্পাঞ্চল এবং সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানে কাটছাঁটের ভাবনা শুরু করেছে। যথেচ্ছ বিদ্যুৎ খরচ নয়, বরং নির্দিষ্ট পরিকল্পনামাফিক বিদ্যুৎ খরচে দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে, নতুন সরকারের পলিসি অন্তত সেইরকম। যদিও একাংশ বলছেন, ক্রমবর্ধমান আর্থিক ঘাটতি যেকোন সময় পাকিস্তানের অবস্থা পাশের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত পাক সরকারের আগাম প্রস্তুতি।
এমন পরিস্থিতির কারণ কী? একাংশ বলছেন, পাকিস্তানে তেমন জ্বালানির উৎস ভান্ডার নেই। পশ্চিমের দেশগুলি থেকে অধিকাংশ জ্বালানি পাকিস্তানকে আমদানি করতে হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে জ্বালানির দাম হু হু করে বেড়েছে। গোটা বিশ্বেই বেড়েছে অর্থনৈতিক সংকট। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচ বহন তুলনায় দুর্বল দেশগুলির ক্ষেত্রে অতি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও তাই। একদিকে সে দেশের রাজনৈতিক পালাবদলে টালমাটাল গোটা দেশ, অপরদিকে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকট সব মিলিয়ে চরম সংকটে পাকিস্তান।
এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে নয়া নিযুক্ত অর্থমন্ত্রী মিফতা জামিল বলেছেন, কেবল জ্বালানির অভাবে বন্ধ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এমন চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই দেশের সঞ্চিত জ্বালানি ফুরিয়ে যাবে। তাই আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখতে পাকিস্তান এবার সাধারণ গৃহস্থ বাড়িতে এবং শিল্পাঞ্চলে পরিমিত বিদ্যুৎ খরচের ফতোয়া জারি করেছে। প্রয়োজনে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।