মাস খানেক আগেই নিজের গদি হারিয়েছেন। প্রকাশ্যে রীতিমতো 'হুঁশিয়ারি' দিয়েছিলেন "আমি যখন সরকারের অংশ ছিলাম তখন বিপজ্জনক ছিলাম না, কিন্তু এখন আরও বিপজ্জনক হব।" পাকিস্তানে (Pakistan) সদ্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হারিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছিলেন ইমরান খান (Imran Khan)। শনিবার পাকিস্তানের শিয়ালকোটের এক জনসভায় দাঁড়িয়ে করলেন ফের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য।
এদিন এক জনসভায় তিনি বলেন, "আমাকে খুন করতে চায় ওরা। আমি সবকিছু ভিডিও করে রেখেছি। সেই ভিডিও-তে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম রেকর্ড করা আছে। আমার যদি কিছু হয়ে যায়, সেই ভিডিও ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে।" ক্ষমতা হারিয়ে বিভিন্ন জনসভায় তিনি একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে চলেছেন। তাঁর গদিচ্যুতের কারণে বিদেশীদের যোগাযোগ আছে, তেমন কথাও বলেছেন তিনি। এবার ষড়যন্ত্রকারীদের নাম তিনি রেকর্ড করে রেখেছেন বলে দাবি করলেন।
ইমরান খানের গদিচ্যুতের আগে অনেকেই মজা করে বলতে শুরু করেছেন স্বাধীনতার পর থেকেই পাকিস্তানের (Pakistan) কোন প্রধানমন্ত্রী টানা পাঁচ বছর নিজের ক্ষমতা দখল করে রাখতে পারেননি। মনে করা হয়েছিল হয়তো ইমরান খান (Imran Khan) সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন নজির তৈরি করবেন। তা হয়নি, ইমরান খান তাঁর পূর্বসূরীদের 'প্রথা' ভাঙতে পারেন না। তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল। তবে এই প্রথম তিনিই অনাস্থা ভোটের মাঠ পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন। তবে ভোটে হেরে পূর্বসূরীদের সেই ধারা তিনি বজায় রেখেছেন ইমরান খান। কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তরের পরেই তিনি আরও বিস্ফোরক হয়ে উঠেছেন।
ইমরান খান নিজের ক্ষমতাচ্যুতির কারণ হিসেবে বিদেশি শক্তির হাত আছে বলে দাবি করেছিলেন। এর আগেও তিনি এর সমর্থনে নানা যুক্তি দিয়েছিলেন। সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর পদচ্যুতির পেছনে বাইরের দেশের হাত আছে। তিনি বলেছিলেন, আমেরিকা আমাদের উপর এই দস্যু-সরকার (নতুন সরকার) চাপিয়ে পাকিস্তানকে অপমান করেছে। জুলফিকার আলী ভুট্টোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বরখাস্ত করা হয়েছিল, কিন্তু এটি 1970 সালের পাকিস্তান নয়, এটি নতুন পাকিস্তান। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইমরান খানের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। তারপরও একাধিক সভামঞ্চ থেকে তিনি এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন।