করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন স্টক মার্কেটে প্রভাব তো ফেলেইছে, এবার আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবায়ও গভীর প্রভাব তৈরি করেছে। বড়দিনের ছুটি সপ্তাহে সবাই যখন ঘরে ফিরতে ব্যস্ত কিংবা ছুটির সপ্তাহে দূরে কোথাও বেড়াতে যেতে প্রস্তুত, তখনই ওমিক্রন আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবায় গভীর প্রভাব তৈরি করেছে। ইউরোপ এবং আমেরিকাতে ফের কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে এই প্রভাব আরও গভীর হয়ে উঠেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত শুক্রবার থেকে আজ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে অন্তত ১১,৫০০ উড়ান পরিষেবা বাতিল হয়েছে। কেবল তাই নয় ১০ হাজারের বেশি উড়ান পরিষেবা দেরিতে চলছে। আরও খবর কেবল সোমবার গোটা বিশ্বে অন্তত ৩ হাজার উড়ান পরিষেবা বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার ১১০০-র বেশি বিমান এখনও পর্যন্ত বাতিল হয়েছে।
হঠাৎ-ই এমন বিপর্যয়ের কারণ কী? সূত্রের খবর, কোভিড আতঙ্কের জেরে অধিকাংশ কর্মচারী ঘরে ফিরতে চাইছেন। অত্যধিক কর্মী সংকটের জেরে বিমান পরিষেবায় এমন বিপর্যয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সোমবার এক বিবৃতি মারফত জানিয়েছে, গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে উপসর্গহীন কোভিড আক্রান্তদের ১০ থেকে ৫ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে। এই সময় বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। গোটা ইউরোপ জুড়েই ওমিক্রন আতঙ্ক শুরু হয়েছে। তার প্রভাব বিমান পরিষেবায়ও পড়তে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই আমেরিকায় হু হু করে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। ক্রিসমাসে উৎসবের সময় গোটা বিশ্বে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা আগেই জানিয়েছিলেন একদল বিশেষজ্ঞ। জানুয়ারি থেকে ফের ইউরোপ ও আমেরিকা জুড়ে কোভিড অতিমারীর আকার ধারণ করবে। যার প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, কোভিড দ্রুত ছড়াচ্ছে। তবে আমেরিকাবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। কোভিড মোকাবিলার জন্য দেশ প্রস্তুত। কোভিডের ডেল্টা প্রজাতির মতো ওমিক্রন কতটা সংক্রামক তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বাড়তি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।