ব্রিটেনে (Britain) এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি ফের ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। করোনার অন্যান্য স্ট্রেনের তুলনায় এই নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনের (Omicron) সংক্রমণ ক্ষমতা বহুগুণ বেশি, তবে এর মারণ ক্ষমতা কতটা তা এখনও স্পষ্ট নয়। সামনেই বড় দিনের উৎসব। তার আগেই করোনার এই বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগে বরিস জনসন সরকার।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ব্রিটেনে গত একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ। গত তিনদিন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে আক্রান্তের মধ্যে সবাই যে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনে আক্রান্ত, সেটা নয়। তবে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে ব্রিটেন সরকার ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে। উৎসব মরশুমে যেকোন জমায়েত এবং নাইট ক্লাবগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবৈধ জমায়েত এড়াতে কড়া হচ্ছে প্রশাসন। অফিসে কাজ করলেও পারস্পরিক দূরত্ববিধি মেনে কাজের কথা বলা হয়েছে। ব্রিটেন এই মুহূর্তে তৃতীয় ঢেউয়ের দোরগোড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ইতিমধ্যেই সতর্ক করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে। ওমিক্রন যে অতি সংক্রামক, তা প্রায় নিশ্চিত। তবে এর মারণ ক্ষমতা কতটা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে এই নয়া স্ট্রেনের প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা মারাত্মক, তা বুঝতেও আরও কিছুটা সময় লাগবে। ব্রিটেন এই মুহূর্তে করোনার দু'টি টিকার পাশাপাশি বুস্টার ডোজের কথা ভাবছে। তবে বুস্টার ডোজ কতটা নিশ্চিতরূপে কার্যকরী হবে, তা এখনও সবার কাছে পরিষ্কার নয়। গোটা বিষয়টাই বিবেচনাধীন।
ব্রিটেনের পাশাপাশি আমেরিকাতেও বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্ক। প্রথম দিকে অতি সক্রিয়তা না থাকলেও ফের আমেরিকায় কঠোর হচ্ছে করোনার এই নয়া স্ট্রেন বিষয়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আর্জি করেছেন, যাঁরা এখনও করোনার টিকা নেননি, যতটা শীঘ্র সম্ভব করোনার টিকা নিন। এমনকী আমেরিকায় করোনা বিধিতে ফের বিধি-নিষেধের আরোপ আসতে চলেছে। বড়দিন আসার আগেই গোটা ইউরোপ জুড়ে বাড়ছে ফের করোনা আতঙ্ক।