ফের সন্ধান মিলল করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতি এক্সই (XE)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে ওমিক্রনের (Omicron) এই উপপ্রজাতির ভাইরাসটি অচিরেই অতি সংক্রামক আকার ধারণ করতে পারে। এমনকী ওমিক্রনের বিএ.২ উপপ্রজাতির তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক হয়ে উঠতে পারে।
কী এই করোনার এক্সই প্রজাতি? হু-র তরফে বলা হয়েছে এই এক্সই প্রজাতির করোনা ভাইরাসটি ওমিক্রনের একটি মিশ্র রূপ। ওমিক্রনের দু'টি সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ.১ এবং বিএ.২ মিশ্রণের ফলেই এই উপপ্রজাতির সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে বিশ্বের খুব কম সংখ্যক মানুষের শরীরে এই প্রজাতির ভাইরাসটি ধরা পড়েছে, তবে এখন থেকে সতর্ক না হলে অচিরেই যে এই প্রজাতির ভাইরাস গোটা বিশ্বেই নতুন আতঙ্ক আনতে সক্ষম, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথায় স্পষ্ট। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এক বিজ্ঞপ্তি মারফত এমন সতর্কবার্তার কথা বলা হয়েছে।
কোথায় প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় এই ভাইরাসের? হু জানিয়েছে, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি প্রথম ইংল্যান্ডে এই ভাইরাসের সন্ধান মেলে। এখনও পর্যন্ত ৬০০-র বেশি এক্সই সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত হয়েছে। হু-র তরফে আরও বলা হয়েছে, এটা স্পষ্ট যে এই প্রজাতির ভাইরাস ওমিক্রনের মিশ্রণে তৈরি। তবে ওমিক্রনের অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় এটি যেকোন সময় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক হয়ে উঠতে পারে।
করোনার অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় ওমিক্রনের মারণ সংক্রমণ তুলনায় বেশি। ওমিক্রনের বিভিন্ন উপপ্রজাতি যেমন বিএ.১ কিংবা বিএ.২ উপপ্রজাতির সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। গোটা বিশ্বের বহু মানুষ তাতে আক্রান্ত হয়েছেন। এবার এই দুই উপপ্রজাতির মিশ্রণে তৈরি এক্সই হয়তো অচিরেই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা থেকেই একথা স্পষ্ট।