কোভিডের ক্ষেত্রে কার্যকরী এমআরএনএ পদ্ধতিই যে এইচআইভি ভ্যাকসিন তৈরিতে মডার্নার অন্যতম হাতিয়ার হতে চলেছে, বলাই বাহুল্য। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের একটি পোস্ট মারফত জানা যাচ্ছে, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই প্রথম দফার ট্রায়াল শুরু করে দেওয়া হবে। এই প্রথম দফার ট্রায়ালে ভ্যাকসিন নিরাপদ কিনা, অনাক্রম্যতা পরিমাপ ও অ্যান্টিবডি গঠনের দিকগুলি খতিয়ে দেখা হবে। যদি দেখা যায় এই ভ্যাকসিন নিরাপদ, তাহলে তার কার্যকারিতা কতটা, তা দেখা হবে আনুষঙ্গিক বেশ কিছু পরীক্ষামূলক গবেষণার দ্বারা।
এইচআইভি আক্রান্ত হয়নি এমন ১৮-৫০ বছর বয়সীদের ওপর এই প্রথম দফার ট্রায়াল চালানো হবে। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার ও এমোরি ইউনিভার্সিটির যৌথ সহযোগীতায় চলবে এই পরীক্ষা। এটির স্পনসরের দায়িত্বে আছে ইন্টারন্যাশনাল এইডস ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ। ব্রড ইনস্টিটিউট অব এমআইটি ও হাভার্ডের মতে এইচআইভি ভাইরাস বাকি সব ভাইরাসের চেয়ে পৃথক, তাই এর ভ্যাকসিন তৈরিও মোটেই সহজসাধ্য না। এমআরএনএ পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে মডার্নার তৈরি এইচআইভি ভ্যাকসিনই প্রথম আশার আলো দেখাচ্ছে। এই পরীক্ষায় সাফল্য এলে তা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে পরিগণিত হবে।
পপুলার সায়েন্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্ক্রিপস রিসার্চ ও আইএভিআইয়ের সাথে মডার্নার অংশিদারিত্বে তৈরি এই এইচআইভি ভ্যাকসিন প্রভাবশালী বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আরেক করোনা ভ্যাকসিন প্রস্ততকারী সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনও এইচআইভি ভ্যাকসিন টেস্টিংয়ে তৎপর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণনা অনুযায়ী, ২০২০-র একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে ৩৭.৭ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি আক্রান্ত। এই ভ্যাকসিনের সাফল্যের দিকেই তাকিয়ে গবেষকরা।