ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনসিয়াসনেস ওরফে ইসকনের সদস্যরা শনিবার আয়োজিত হয়ে তাদের সর্বভারতীয় হেডকোয়ার্টার পশ্চিমবঙ্গের মায়াপুরে একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করল। এই বিশেষ সভায় তাদের সকলের মুখে ছিল 'হরেকৃষ্ণ' ধ্বনি। শুধুমাত্র মায়াপুর নয়, বিশ্বের ১৫০টি ইসকন মন্দিরে এই শান্তিপূর্ন প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল ইসকন কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমনকে কেন্দ্র করে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ এবং ভারত।
গত সপ্তাহে বেশকিছু দুর্গা মূর্তি এবং হিন্দু মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশে। তার পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয়েছিল বাংলাদেশের নোয়াখালীতে অবস্থিত ইসকন মন্দিরে। এই হামলায় বেশকয়েকজন মারা গিয়েছিলেন। কুমিল্লাতেও এইভাবে হিন্দুদের প্রতি আক্রমণ করা হয়। সেই ঘটনাতেও সোচ্চার হয়ে ওঠে গোটা দেশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ইসকনের আন্তর্জাতিক হেডকোয়ার্টার মায়াপুরে হরিনাম সংকীর্তন এর মাধ্যমে শান্তিপূর্ন প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ইসকনের সাধু-সন্ন্যাসীরা। পাশাপাশি একইভাবে সোচ্চার হয়ে ওঠেন ইসকন কলকাতার সদস্যরা। নোয়াখালীতে মৃত দুই ইসকন সদস্যের ছবির সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে তারা ওই দুই জনের আত্মার শান্তি কামনা করে। এই প্রতিবাদে সামিল হন ইসকনের সহ প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস।
অন্যদিকে, মায়াপুরের প্রতিবাদ সভায় একটি বিশেষ ধরনের প্ল্যাকার্ডও ব্যবহার করা হয়, যেখানে লেখা ছিল, 'বাংলাদেশের ঘটনার বিচার চাই', 'বাংলাদেশে আমাদের মন্দিরগুলিকে রক্ষা করুন', 'হিন্দুদের উপর আক্রমণ বন্ধ করুন'। তারপরে এই হামলার ঘটনায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের প্রতি তার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন প্রতিবাদ সভায় সামিল ইসকন সদস্যরা। ইসকন মায়াপুরের মুখপাত্র সুব্রত বিশ্বাস বললেন, 'আজ মায়াপুরের সাধু-সন্ন্যাসীরা সারাবিশ্বের হিন্দুদের প্রতি আক্রমণে গর্জে উঠেছে। সারা বিশ্বের হিন্দু কমিউনিটি বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে আছে। শেখ হাসিনা সরকারের কাছে আমাদের দাবি, বাংলাদেশে যেন সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব নেয় সে দেশের সরকার। আমাদের দাবি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং সুবিচার দিতে হবে।'