করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের (Omicron) বিরুদ্ধে ফাইজার - বায়োএনটেকের (Pfizer-BioNTech) ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী? দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বৃহত্তম স্বাস্থ্য সংস্থা ডিসকভারি হেল্থ-এর (Discovery Health) সাম্প্রতিক গবেষণায় একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এই সংস্থার দাবি, করোনার অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্তদের শারীরিক সমস্যা তুলনায় কম। এখনও পর্যন্ত বিস্তর গবেষণার পর দেখা গেছে, ওমিক্রন অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় ততটা অতি সংক্রামক নয়। তবে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজার - বায়োএনটেকের টিকা ততটা কার্যকরী নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার এই নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের প্রথম সন্ধান মেলে। প্রাথমিক ভাবে বলা হয়েছিল করোনার এই নতুন প্রজাতি 'অতি উদ্বেগজনক'। ইতিমধ্যেই বিশ্বের কয়েকটি দেশকে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই কোন না কোন কোভিড টিকাকরণের কাজ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, আমেরিকা এবং জার্মানির এই টিকা কমবেশি ৩৩ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারছে। প্রায় ২ লক্ষ ১১ হাজার মানুষের উপর গবেষণার পর এমন তথ্য উঠে এসেছে। তবে গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর এই ভ্যাকসিন অন্তত ৭০ শতাংশ কাজ করছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় গত কয়েক দিনে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ফাইজারের তরফে জানানো হয়েছিল, করোনার নতুন প্রজাতি প্রতিহত করতে আর একটি বুস্টার ডোজের প্রয়োজন। এমনকী ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থাগুলি করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের গতি-প্রকৃতি পরীক্ষা করে ভ্যাকসিনের গঠনতন্ত্রে পার্থক্য আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেদিক থেকে বুস্টার ডোজের কথা চিন্তা করা হচ্ছে। তবে এখনই এতটা চিন্তিত হতে নিষেধ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওমিক্রন কতটা সংক্রামক তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ভ্যাকসিন মৃত্যুহার অনেকটাই কমিয়েছে, তা আশার কথা তো বটেই।