অনেকেই মজা করে বলতে শুরু করেছেন স্বাধীনতার পর থেকেই পাকিস্তানের (Pakistan) কোন প্রধানমন্ত্রী টানা পাঁচ বছর নিজের ক্ষমতা দখল করে রাখতে পারেননি। মনে করা হয়েছিল হয়তো ইমরান খান (Imran Khan) সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন নজির তৈরি করবেন। হল না, ইমরান খান তাঁর পূর্বসূরীদের 'প্রথা' ভাঙতে পারলেন না। তবে এই প্রথম তিনিই অনাস্থা ভোটের মাঠ পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন। তবে ভোটে হেরে পূর্বসূরীদের সেই ধারা তিনি বজায় রাখলেন ইমরান খান।
ইমরান খান নিছকই একটি নাম নয়। খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির ময়দানে তাঁর উত্থান চমকপ্রদ তো বটেই। একসময় পাক দলের অধিনায়ক, ক্রিকেট কমেন্ট্রি থেকে রাজনীতির আঙিনায় উত্থান। ২০১৮ সালে ইমরানের তেহরিক-ই-ইনসাফ নয়া পাকিস্তান গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ক্ষমতায় আসে। পাক সেনার সঙ্গে ইমরানের সখ্য অবিদিত নয়। তবে গত বছর খানেক সেই সম্পর্ক ধীরে ধীরে তলানিতে পৌঁছায়। ভেতরে ভেতরে ইমরান খান বিরোধী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। তিনি আঁচ করেছিলেন, কিন্তু সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হল। পূর্বসূরীদের ধারা বজায় রেখে মেয়াদ ফুরনোর আগেই গদি হারালেন ইমরান।
এরপর পাকিস্তানের ভবিষ্যত কী? আগে থেকেই জল্পনা ছিলই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শাহবাজ শরিফ। কে তিনি? তিনি পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দলনেতা। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নিজের ভাই। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ তো বটেই। আগামী ১২ এপ্রিল ফের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন। হয়তো সেখানেই নয়া পাক প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হয়ে যাবে। আর সেই সঙ্গে পাকিস্তানের ইতিহাসের এক যুগের পতন হল। ক্রিকেটার ইমরান খান থেকে রাজনীতিক ইমরান খানের জীবনের এক রোমহর্ষক কাহিনীর শেষ হল।
 
  
 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
    