মানবদেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা। এই প্রথমবার মানবদেহে শুয়োরের হৃদপিণ্ড (Heart) সফলভাবে প্রতিস্থাপন (Transplant) করা হল। যদিও রোগীকে কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে, তবুও প্রতিস্থাপনের কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত ভাবে সফল হলেই বিশ্বজুড়ে মানুষ যে অঙ্গদানের সমস্যায় পড়েন, তার থেকে মুক্তি মিলতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন একাংশ।
ঘটনাটি কোথায়, কীভাবে সম্ভব হল? আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল স্কুলের তরফে সোমবার এক বিবৃতি মারফত জানানো হয়েছে এমন সফল অস্ত্রোপচারের কথা। একজন ৫৭ বছর বয়সী ব্যক্তির শরীরে সফলভাবে শুয়োরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তবে প্রতিস্থাপনের আগে শুয়োরের জিনগত পরিবর্তন করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে খবর। তাঁর হৃদপিণ্ড সাড়া দিচ্ছে বলে এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছেন সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী ডেভিড বেনেত গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। প্রায় শয্যা শয্যাশায়ী মানুষটির বাঁচার আশা প্রায় ক্ষীণ ছিল। তাঁর হৃদপিণ্ড কোনভাবেই আর কাজ করছিল না। এমন অবস্থায় মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল স্কুলের চিকিৎসকরা তাঁর শরীরে শুয়োরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তার আগে শুয়োরের জিনগত পরিবর্তন করা হয়। ডেভিড বেনেত জানিয়েছেন, বাঁচার কোন আশাই ছিল না। মনে করেছিলাম মৃত্যুর আগে চিকিৎসার ইতিহাসে একটি দিগন্ত খুলে দিই। অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এ এক যুগান্তকারী ঘটনা। এই মেডিক্যাল স্কুলের এক সার্জেন ড. বার্টলে গ্রিফিথ বলেছেন, বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এ নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। শুরুর থেকেই আমরা সতর্কভাবে পা ফেলেছি, তাই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন।