মুম্বাই হামলার মূল চক্রী লস্কর-ই-তৈবা প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদকে (Hafiz Saeed) দুটি ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ৩১ বছরের জন্য কারাদণ্ড দিল পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। এছাড়াও তার যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই আদালতের তরফ থেকে। ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। জিও নিউজ সহ একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমের পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের এই আদালত তাদের রায় ঘোষণার সময় হাফিজের তৈরি করা মাদ্রাসা এবং মসজিদ দখল নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) আমেরিকা সফরের ঠিক আগে ২০১৯ সালে হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করা হয়। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) টুইট করে লিখেছিলেন, ১০ বছর ধরে তল্লাশির পর থেকে আটক করা হয়েছে। ২০০১ থেকে এই নিয়ে আটবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরের মুম্বাই হামলায় ছক সাজিয়েছিলেন হাফিজ। এই মামলায় ২০১৭ সালে হাফিজ এবং তার চার সহযোগীকে আটক করেছিল পাকিস্তান। পাঞ্জাবের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা বোর্ড তাদের বন্দীদশার মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকার করলে ১১ মাস পরে তারা মুক্তি পান।
২০২০ সালে হাফিজকে সন্ত্রাসবাদে মদদের সংক্রান্ত একটি আর্থিক মামলায় সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তবে গৃহবন্দি থাকা অবস্থাতেও তিনি বছরের-পর-বছর অবাধে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। জানা যায় তিনি বিভিন্ন জায়গায় ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক একাধিক বক্তৃতা করেছেন।