দিন দশেক আগে মানবদেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ইতিহাসে যুগান্তকারী ঘটনা ঘটেছিল। এই প্রথম সফলভাবে মানব শরীরে শুয়োরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের কাজ শেষ হয়েছিল। তারপরও শঙ্কা যেন কাটছিলই না। কিন্তু ১০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন গোটা বিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞান। মানব শরীরে শুয়োরের সেই হৃদপিণ্ড কাজ করছে বলেও খবর।
আমেরিকার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ১০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও ৫৭ বছর বয়সী সেই ব্যক্তি সুস্থ আছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর শরীরে শুয়োরের সেই হৃদপিণ্ড কাজ করতে শুরু করেছে। বর্তমানে তিনি আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো আছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের একাংশ বলেছেন, অস্ত্রোপচারের প্রথম ১০ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় রোগীর নানান শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দেখা যেতে পারে। শরীরে নানান সংক্রমণ ঘটতেও পারে। তবে এক্ষেত্রে প্রথম ১০ দিন পরও তিনি যথেষ্ট ভালো আছেন। আর এরপরেই চিকিৎসকরা আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন।
এই প্রথম কি এমন শুয়োরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের ঘটনা? ইতিহাস বলছে এটি প্রথম ঘটনা নয়। ঠিক ২৫ বছর আগেই ভারতে এমনই এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা ঘটিয়েছিলেন একজন ভারতীয় চিকিৎসক। ভারতের বিখ্যাত হার্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. ধনীরাম বড়ুয়া। ১৯৯৭ সালে আজ থেকে ২৫ বছর আগে শুয়োরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের কাজ করেছিলেন। হংকংয়ের বিশেষ ডাক্তারের টিম এসেছিল। আসামের গুয়াহাটিতে তিনি ব্যবস্থা করেছিলেন এমন ঐতিহাসিক কাজের। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ৭ দিনের মাথায় সেই রোগী মারা যান। এই ঘটনার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর জেল হয়। কিন্তু আজও ড. ধনীরাম বড়ুয়া বেঁচে আছেন। আর তাঁর অধরা সাফল্য হয়তো গোটা বিশ্বের কাছে খুব শীঘ্রই সফল হতে চলেছে। যার শুরু হয়েছিল একজন অনমনীয় ভারতীয় চিকিৎসকের হাত ধরে।