ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে (Bangladesh) আর্থিক সংকট চরমে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, অদূর ভবিষ্যতে শ্রীলঙ্কার (Srilanka) মতো পরিস্থিতি তৈরি হতেও পারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগে থেকেই সতর্ক হল বাংলাদেশ সরকার। একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জারি করেছে সেদেশের শেখ হাসিনা সরকার।
রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) সংকটের কারণে এশিয়ার তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে জ্বালানি সংকট চরমে। বাংলাদেশে জ্বালানি আসে মূলত ডলারে। এদিকে গত কয়েক দিনে বাংলাদেশি টাকার সঙ্গে ডলারের পার্থক্য আকাশছোঁয়া। আগে এক ডলার ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ টাকা। অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে তা ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় বিদেশ থেকে তেল আমদানি করে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে হলে সরকার দেউলিয়া হতে কতক্ষণ!
বাংলাদেশ সরকারের তরফে জ্বালানি সাশ্রয়ে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আপাতত দৈনিক ১ থেকে ২ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা বলা হয়েছে। তবে কোথায়, কখন লোডশেডিং থাকবে আগে থেকেই জানানো হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি ব্যবহারে বিরত থাকা, ঘরে এসির মাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে আটকে রাখা, সরকারি কিংবা বেসরকারি অফিসের সময়সীমা ১ থেকে ২ ঘন্টা কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। রাত আটটার পর দোকান-বাজার বন্ধ রাখার কথাও সেই নির্দেশিকায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
এমন পরিস্থিতির কারণ কী? আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তাই আগে থেকেই এই সতর্কতা। তবে সেদেশের সরকারের দাবি, এই পরিস্থিতি বেশিদিন থাকবে না। শীঘ্রই অবস্থা স্বাভাবিক হবে, তখন এই বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হবে। সরকারের তরফে আরও বলা হয়েছে, প্রথম বিশ্বের দেশগুলি যেমন ব্রিটেন, জাপান কিংবা অস্ট্রেলিয়াতেও পরিস্থিতির খাতিরে এমন অবস্থা জারি করতে হয়। দেশকে রক্ষা করতে হলে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।