আর কূটনৈতিক কথা চালাচালি নয়, এবার সরাসরি ইউক্রেন (Ukraine) আক্রমণ করল রাশিয়া (Russia)। বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেন আক্রমণের কথা ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। আর শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইউক্রেনের রাজধানী কিভ-সহ বেশ কয়েকটি শহরে বিস্ফোরণের খবর এসেছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি এবং ভিডিও-তে সেই চিত্র উঠে এসেছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। টুইটারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। সকালেই শেয়ার বাজারে বিপুল ধস নেমেছে। আমেরিকা-সহ বিশ্বের প্রথমসারির দেশগুলি ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
একনজরে রাশিয়া ইউক্রেন ঘটনার বিবরণ :
■ প্রথমে ইউক্রেন সেনাকে অস্ত্র ছাড়ার আবেদন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। যুদ্ধ হলে সমস্ত দায় ইউক্রেনকে নিতে হবে ঘোষণা রাশিয়ার।
■ ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ যুদ্ধ ঘোষণা রাশিয়ার।
■ কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিভ-সহ একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের ছবি। বিভিন্ন এলাকা থেকে বেরোচ্ছে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে থাকে।
■ বিস্ফোরণের ছবি জনবসতি এলাকার কী না এখনও স্পষ্ট নয়। হতাহতের কোন সরকারি তথ্য এখনও পর্যন্ত আসেনি। যদিও রাশিয়ার দাবি, সাধারণ নাগরিকদের কোন ক্ষতি হবে না।
■ এদিন ইউক্রেনের আকাশপথ ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গেল। ফলে ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংকট।
■ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, বিনা প্ররোচনায় হামলার দায় দিতে হবে রাশিয়াকে।
ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্ব উদ্বেগে। ক্রমশ ঘনাচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা। রাষ্ট্রপুঞ্জে ইতিমধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেনের বিষয়টি নিয়ে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি ভারতের আটকে থাকা পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন।