রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উত্তাল গোটা আন্তর্জাতিক মহল। একদিকে যেমন পুতিনের আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা চলছে, ঠিক অন্যদিকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রশংসা করতে ভুলছেন না কেউ। যেই অসম যুদ্ধের নকশা সকলেই ভেবে নিয়েছিল, তাকে কার্যত অসম্ভব প্রমাণ করেছে ইউক্রেন সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে, রাশিয়ার সাথে টানা ৪ দিন যুদ্ধের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৪৩০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে ও ১৪৬ টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। এর মাঝেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক লড়াইয়ে বিদেশি নাগরিকদের সাহায্য চেয়ে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, "বিশ্বের যেখানেই থাকুন না কেন, সবচেয়ে কাছের ইউক্রেন দূতাবাসে গিয়ে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য নাম নতিভুক্ত করুন। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে আন্তর্জাতিক বাহিনী গড়ে তুলুন।"
রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছে ইউক্রেন। খারকিভ শহরে রুশ সেনারা প্রবেশের চেষ্টা করলেও শেষপর্যন্ত ইউক্রেন সেনা তাদের বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তির আবেদন করে জানিয়েছেন, "অস্ত্র নীরব হয়ে যাক। যাঁরা শান্তি কামনা করেন, ঈশ্বর তাঁদের সঙ্গেই থাকেন। যাঁরা হিংসার পথ বেছে নেন, ঈশ্বর তাঁদের সঙ্গে থাকেন না।"
অন্যদিকে, যুদ্ধের চতুর্থ দিনে দেশের পরমাণু অস্ত্র তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপরই রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের পরমাণু অস্ত্র বিষয়ক পর্যবেক্ষক বিভাগ। পাশপাশি, পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিরোধ নিয়ে পুতিনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছে হোয়াইট হাউস। এছাড়া, রাশিয়ার ওপর কটাক্ষ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন বলেছেন, "আমরা রাশিয়ার মালিকাধীন, রাশিয়ার নথিভুক্ত থাকা বা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা সব বিমানের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আকাশসীমা বন্ধ করে দিচ্ছি।" এছাড়াও রাশিয়া থেকে আমেরিকান নাগরিকদের দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন রাশিয়ার পাশাপাশি বেলারুশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে।