আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে আমেরিকার (America) সেনা সরানোর পর থেকেই একের পর এক এলাকা দখল করছে তালিবান। সে দেশের একের পর এক শহর চলে যাচ্ছে তালিবানদের হাতে। নতুন করে সে দেশে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। এর মধ্যেই বুধবার পাকিস্তানের (Pakistan) সীমান্ত ঘেঁষা কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বলডাক শহরের দখল নেয় তালিবান। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আফগান সেনা দাবি করে, এলাকাটি তারা পুনরুদ্ধার করেছে। বর্তমানে আফগানিস্তানে তালিবানের সঙ্গে আফগান সেনার মধ্যে তীব্র বৈরিতার পর্ব শুরু হয়েছে। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা সরানোর পর থেকেই তালিবানদের সে দেশ দখলের অভিযোগ উঠেছিল দিন কয়েক আগেই। এবার সরাসরি সেই বার্তা পৌঁছে গেল মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, গত মে মাস থেকেই আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সেনা সরাতে শুরু করে। ধাপে ধাপে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। যদিও সেনা সরানোর প্রাথমিক পর্যায় থেকেই সে দেশে পুনরায় তালিবানদের আগ্রাসন শুরু হয়েছে বলে খবর। মূলত আফগানিস্তানের যে এলাকা গুলি জাতীয় আয়ের প্রধান উৎস সেই গুলি আগে দখলের টার্গেট করেছে তালিবানরা। তার জন্য পাকিস্তান লাগোয়া সীমান্ত প্রদেশ কিংবা ইরান ও তুর্কমেনিস্তানের সীমান্ত প্রদেশ টোরঘুন্ডি শহরের দখল নিয়েছে তালিবানরা। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার এই সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে। এটি কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নাকি আন্তর্জাতিক স্তরে এর কোন যৌক্তিকতা আছে, তা নিয়েও ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে আবার তালিবানদের একের পর এক শহর দখলের পেছনে পাকিস্তানের বায়ুসেনার হাত আছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। তিনি এক টুইট বার্তায় অভিযোগ করেছেন, "পাকিস্তান বায়ুসেনার তরফে আফগান সেনা এবং বায়ুসেনাকে সরকারিভাবে হুমকি দিয়ে জানানো হচ্ছে যে স্পিন বলডাক এলাকা থেকে তালিবানদের উচ্ছেদের কোনওরকম চেষ্টা করা হলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় তালিবানকে আকাশপথে সমর্থনও জোগাচ্ছে পাকিস্তানের বায়ুসেনা।" বরাবরই পাকিস্তানের কট্টর সমালোচক এই ভাইস প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, তালিবানদের ঘুরপথে মদত যোগাচ্ছে পাকিস্তানের বায়ুসেনা। আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের কোন প্রতিক্রিয়া যদিও দেননি ইমরান খানের সরকার, তবুও আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে সরাসরি নাক গলাতে চাইছে পাকিস্তান, তা মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।