চিলির (Chile) নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন বামপন্থী ছাত্রনেতা গ্যাবরিয়েল বোরিক (Gabriel Boric)। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি এক নতুন ইতিহাসের সাক্ষী। রবিবার চিলির নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে বামপন্থী আদর্শের বোরিক পেয়েছেন প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে বোরিকের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণপন্থী নেতা জোসে আন্তোনিও কাস্ত্রো পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোট। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে যেভাবে চিলির সান্তিয়াগোর পথে মানুষের ঢল নেমেছে, তা দেখে গোটা পৃথিবীর বামপন্থী মানুষদের কাছে এ যেন গর্বের দিন।
কে এই গ্যাবরিয়েল বোরিক? চিলির পুনতা অ্যারিনসে ১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন বোরিক। নিজের শহরের দ্য ব্রিটিশ স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর ২০০৪ সালে চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে চলে আসেন। চিলি ইউনিভার্সিটিতে আইন নিয়ে পড়তে ভর্তি হন। যদিও রাজনীতির হাতেখড়ি স্কুল জীবন থেকেই। ইউনিভার্সিটির জীবনে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মানুষের কথা বলতে গিয়ে কখন যে মানুষের মাঝে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন কে তা জানত! ২০১৪ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে সংসদ নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। আর রেকর্ড ভোটে জিতে নির্বাচিত হন। আর পড়াশোনা শেষ না হলেও মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত এই যুব নেতা।
ক্ষমতায় এসেই গ্যাবরিয়েল বোরিকের ঘোষণা চিলি যদি নব্য উদারবাদের আঁতুড়ঘর হয়ে থাকে, তাহলে এখন থেকেই হবে তার কবরস্থান। বোরিক চিলিতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে চান। সে দেশের ২৫ শতাংশ সম্পদ মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতে। এ ব্যবস্থার বদল ঘটাতে চান। বামপন্থী মানুষের স্বপ্ন গোটা বিশ্বজুড়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, তারই যেন চারাগাছ রোপণ করলেন বোরিক। বোরিকের উত্থানে ঘুম উড়ে গিয়েছে গোটা লাতিন আমেরিকার দক্ষিণপন্থী নেতাদের। গ্যাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের দেশ কিংবা পাবলো নেরুদার দেশে এ যেন এক নয়া উত্থান। মানুষের এত স্বতঃস্ফূর্ততা বহুদিন দেখেনি গোটা বিশ্ব।