কয়েক মাস হল আফগানিস্তানের (Afghanistan) ক্ষমতা দখল করেছে ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন তালিবান (Taliban)। আর ক্ষমতা দখল করেই একের পর এক ফতোয়া জারি করে চলেছে তালিবান। এবার আফগানিস্তানে হিজাব বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করল তালিবান।

আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এবার থেকে আফগানিস্তানের সমস্ত নারীদের কেবল বোরখা নয়, হিজাব পরাও বাধ্যতামূলক করেছে তালিবান। এমনভাবে পরতে হবে যাতে কেবল চোখটুকু দেখা যায়। এর অন্যথা হলেই একাধিক শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে সেদেশের নারীদের। বলা হয়েছে, যাঁরা এই ফতোয়া মেনে চলবেন না, তাঁদের পুরুষ অভিভাবকদের সতর্ক করা হবে। তার পরে যদি তাঁরা অস্বীকার করেন, তবে তাঁরা জেলের মুখোমুখি হতে পারেন। যেসকল নারী সরকারি কর্মচারী, যাঁরা মুখমণ্ডল ঢেকে রাখবেন না, তাঁদের বরখাস্ত করা হতে পারে। পুরুষ কর্মচারীদের সঙ্গে নারী-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য যাঁরা এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবেন, তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে।
ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন একদল যুক্তিবাদী নারী। বুধবার কাবুলের রাস্তায় মুখ না ঢেকে একদল নারী প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। তাঁদের মুখে এমন স্লোগান ছিল, বোরখা আর হিজাব নয়, আমাদের কাজ ও স্বাধীনতা চাই। যদিও এই প্রতিবাদের পরেই সেই নারীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তালিবানিদের বিরুদ্ধে। গোটা বিশ্বেই আফগান নারীদের পক্ষে সরব হয়েছেন একাংশ।


আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই একের পর এক ফতোয়া জারি করে চলেছে। বিশেষ করে নারীদের উপর নেমে এসেছে একাধিক সামাজিক বিধি-নিষেধ। এর আগেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের উপর চাপ তৈরি করা হয়েছে। মহিলাদের পড়াশোনার অধিকার, কাজের জায়গায় স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। হিজাব নিয়েও এর আগে তালিবান একাধিক ফতোয়া জারি করেছিল। এবার সরাসরি মহিলাদের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করল তালিবানি প্রশাসন, দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।