তালিবান রাজ আফগান ভুমি-কে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে ধীরে ধীরে। একের পর এক প্রদেশ হাতছাড়া হচ্ছে আফগান সরকারের। আর সেখানে নিজেদের কব্জা জমাচ্ছে তালিবানি জঙ্গিগোষ্ঠী। গতকালই খবর পাওয়া গেছিল তালিবানরা আফগানিস্তানের দুই তৃতীয়াংশ দখল করে ফেলেছে। মোট ৯ টি প্রাদেশিক রাজধানী তারা দখল করে নিয়েছিল। এবার তাতে নতুন সংযোজন গজনী। আফগানিস্তানের এই গুরুত্বপূর্ণ শহরটিও এখন তালিবানদের কব্জায়, এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে তালিবান মারফত। শহর দখল করেই তারা সেখানের পরিত্যক্ত সেনা ঘাঁটির ছবিও প্রকাশ করেছে। প্রসঙ্গত, কাবুল থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গজনী প্রদেশের রাজধানী শহর। এবং সামরিক অবস্থানগত বিচারেও এটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে নিজেদের পতন রুখতে এবার মরিয়া আফগান সরকার। দেশে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্যে তাঁরা এক পা বাড়িয়ে তালিবানদের কাছে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব রেখেছেন। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার কাতারের রাজধানী দোহা-তে আমেরিকার উপস্থিতিতে আফগানিস্তান সরকার এবং তালিবান শান্তি বৈঠক করেন। বৃহস্পতিবারই শান্তি আলোচনার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী গুলাম ফারুখ মাজরো বলেন, “এবার আফগান সরকারের তরফ থেকে যুদ্ধবিরতির জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তালিবান প্রতিনিধিদের”। তবে এই ‘সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব’কে ক্ষমতার বণ্টন বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, এই নিয়ে আফগানিস্তানের মোট ১০টি প্রাদেশিক রাজধানী তালিবানদের দখলে। মে মাসে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের পর থেকেই শুরু হয় তালিবান ‘আগ্রাসন’। তবে এর মাঝেই আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই কাবুলও তালিবানের কব্জায় চলে যাবে। ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়েছেন আফগান সরকারের দুই মন্ত্রী। তার উপর গজনী তালিবান দখলে চলে যাওয়ায় দক্ষিণ আফগানিস্তানের সাথে আফগান সরকারের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।