আফগানিস্তানে নবনির্মিত তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে মহিলাদের প্রতিবাদ মিছিল বেরিয়েছিল রাজধানী কাবুলে। তার সম্প্রচার করার খেসারত দিতে হল দুই সাংবাদিককে। তাঁদের কপালে জুটল তালিবানি বর্বরতা। ভয়ানক প্রহারের পর তাঁদের সারা শরীরে কালশিটে পড়া ছবি ইতিমধ্যেই ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে সর্বমহল থেকে উঠছে নিন্দার ঝড়।
সূত্রের খবর, কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাক্ষেত্রে মহিলাদের সমানাধিকার নিয়ে গতকাল মহিলাদের এক মিছিল বার হয়েছিল পশ্চিম কাবুলের কার্ট-ই-চার এলাকায়। সেখানেই আফগানি সংবাদ সংস্থা ‘এটিলাট্রজ’-এর দুই সাংবাদিক, দারইয়াবি এবং নাকভি উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রতিবাদ মিছিলটি সম্প্রচার করছিলেন। এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে নাকভি জানিয়েছেন, তাঁরা সেখানে ফটো তোলা শুরু করলে এক তালিবান যোদ্ধা এসে তাঁদের ফটো তুলতে নিষেধ করে। আরও যাঁরা সেখানে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ মিছিলের ছবি, ভিডিও তুলছিলেন তাঁদের হাত থেকে ফোন কেড়ে নেয় তালিবান যোদ্ধারা। এরপরেই তারা ‘টোলো নিউজ’ ‘এটিলাট্রজ’, ‘এল এ নিউজ’ সহ বিভিন্ন স্থানীয় এবং বিদেশি সংবাদসংস্থার প্রতিনিধিদের অপহরন করে নিয়ে যায়। যদিও স্থানীয় সাংবাদিক ছাড়া বিদেশি সংবাদসংস্থার প্রতিনিধিদের অক্ষত অবস্থাতেই ছেড়ে দেয় তারা। পরে অপহৃত দুই সাংবাদিকের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ইলেকট্রিক তার, চাবুক, লাঠির বাড়ি খেয়ে কালশিটে পড়া তাঁদের শরীর দেখে শিহরিত বিশ্ববাসী।
সরকার গঠনের আগে তালিবানের মুখে শোনা গেছিল বহু মধুর আশ্বাস। তারা বলেছিল, দ্বিতীয় তালিবান সরকার প্রথমটির থেকে অনেকাংশে আলাদা। নারীশিক্ষা, নারিসুরক্ষা, মানবাধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অনেককিছুরই স্বপ্ন দেখিয়েছিল তালিবান। কিন্তু ক্ষমতায় এসেই তারা স্বমূর্তিতে বিরাজমান। তাদের মানসিকতা বা ভাবধারায় যে এতটুকু পরিবর্তন আসেনি তা বারবার প্রমান করে চলেছে তালিব জঙ্গিরা। তালিবান আছে তালিবানেই।