এখনো দেশ ছাড়ার পালা থামেনি। হ্যাঁ, তালিবানদের আফগানিস্তান দখলের পর থেকে একমুঠো মুক্ত শান্তিময় জীবন যাপনের আশায় দফায় দফায় দেশ ছেড়েছেন বহু নাগরিক। এবার দেশ ছাড়লেন আফগানিস্তানের যুব মহিলা দলের ফুটবলাররা। নিজেদের পরিবার ও কোচদের সাথে নিয়ে তারা আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন পাকিস্তানে। তবে এই আশ্রয় স্থায়ী নয়। কারণ এখান থেকেই তারা চলে যাবেন আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিতে। সেখানেই রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত এই আফগান মহিলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা রয়েছেন পাকিস্তানের লাহোরের গদ্দাফি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ফিফা হাউজে।
এই দলে রয়েছেন একাশি জন আফগান মহিলা ফুটবলার। গতকালই এসে পৌঁছেছেন তারা। আজ আসার কথা আরও ৩৪ জনের। এনারা সকলেই তোরখাম সীমান্ত পার করে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে এসেছেন। পাক ফুটবল ফেডারেশনের কর্তা উমার জিয়া জানিয়েছেন, "পরবর্তী এক মাসের মধ্যেই অন্য দেশে চলে যাবেন ওঁরা। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে তাঁদের পাঠানোর ব্যবস্থা করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।"
কিন্তু কেন দেশ ছাড়লেন মহিলা ফুটবলাররা? খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এর আগেও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল অবধি যখন তালিবানের দখলে ছিল আফগানিস্তান, সেই সময়ও মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। কোনও রকম খেলার সঙ্গেও যুক্ত থাকতে দেওয়া হত না মহিলাদের, কারণ তালিবান মতে ইসলাম ধর্মে এমন কোনো খেলার অনুমতি নেই যেখানে শরীর প্রদর্শন করা যাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেয়েদের ওপর রক্ষণশীলতার কঠোর বেড়াজাল আরোপ করেছে তালিবান, তাই সমস্ত পেশা ও কাজের সাথে যুক্ত মহিলাদেরই জীবন বিপর্যস্ত।