এবার নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের নেপথ্যেও উঠে এল আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম। সেদেশে বন্দুকবাজের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ জন, গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন আরো অনেকে। সকলকেই ভর্তি করা হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্র মারফত জানানো হয়েছে, গত রবিবার সোকোতো নামে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমের রাজ্যের একটি গ্রামের বাজারে আচমকাই ব্যপক হামলা চালায় প্রায় ২০০ জন বন্দুকবাজ। মোটরবাইক এবং চার চাকার গাড়িতে করে এসে আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে ওই হামলাকারী দল। সেসময় চলতি বাজারে প্রচুর লোকের জমায়েত ছিল, ফলে অনেকেই কিছু বুঝে সরে পড়ার আগেই ঘটনাস্থলে গুলির আঘাতে প্রাণ হারান। ওখানেই আরও অনেকে গুরুতরভাবে আহত হন।
হামলার পরই ওই বন্দুকবাজরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে তারাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সোকোতো সরকারের মুখপাত্র মহম্মদ বেলো সংবাদমাধ্যমকে জানান, রবিবার গ্রোনোয়ো গ্রামে বন্দুকবাজরা হামলা চালিয়েছে এবং সেই হামলায় অন্তত ৪৩ জন মারা গিয়েছে। এখন গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও গত ৮ অক্টোবর নাইজেরিয়ার সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে একই ভাবে আচমকা হামলা চালায় ওই বন্দুকবাজরা যে ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরেই নাইজেরিয়ার উত্তরভাগে একাধিক গ্যাংয়ের উপস্থিতি এবং বোকো হারাম জঙ্গি গোষ্ঠীর কারণে এই ধরনের সন্ত্রাসবাদী ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। এই বোকো হারাম জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস জঙ্গিদের সঙ্গেও যোগ রেখে চলে। রাষ্ট্রসংঘের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়া সহ প্রতিবেশী দেশ নাইজার, চাদ ও ক্যামেরুনে একাধিক জঙ্গি হামলা চালিয়েছে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম গোষ্ঠী। এর মধ্যে এরা কেবল নাইজেরিয়াতেই ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। এপর্যন্ত প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।