তালেবান-সরকার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সর্বসমক্ষে ঘোষণা করে দিয়েছিল এটা হল আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের দ্বিতীয় সরকার অর্থাৎ তালিবান ২.০। নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে আফগান ভূমিতে। যদিও তাদের স্বপ্ন খুব একটা বেশি গুরুত্বসহকারে কোনদিন দেখেনি বিশ্ব। যতই আফগান সরকারের সময় বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু মানুষ কোনঠাসা হতে শুরু করেছে। এমনকি আগের গনি সরকার এর পুলিশদের সঙ্গে নির্মম অত্যাচার করেছিল আফগান সরকার। তার সাথে সাথেই জানা গিয়েছে পূর্ববর্তী সরকারের পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের সঙ্গে একই ভাবে ভয়ঙ্কর আচরণ শুরু করেছে জেহাদীরা। আগস্ট মাসে ক্ষমতা দখল করার পরে আফগানিস্তানের শতাধিক প্রাক্তন পুলিশ এবং গোয়েন্দা অফিসারকে গায়েব করে দিয়েছে তালিবান সরকার। সম্প্রতি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই রিপোর্ট পেশ করেছে।
এই রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আশরাফ গনি সরকারের পতনের পরে তাদের রেখে যাওয়া সমস্ত নথি থেকে ওই সমস্ত ব্যক্তিদের টার্গেট করা হয়েছে এবং তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় গায়েব করে দেওয়া হয়েছে আফগানিস্তানের নতুন তালিবান সরকারের দ্বারা। আগামী দিনেও নতুন নতুন টার্গেট এর তালিকা তৈরি করে ফেলেছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। বর্তমানে এই কাজ করার জন্য রীতিমতো ফাঁদ পেতে বসে রয়েছে তালিবানরা। তালিবানের মাধ্যমে আফগানিস্থানে আবার একটি অন্ধকার যুগের সূচনা হয়েছে, সেটা কার্যত পরিষ্কার।
আফগান সেনা বাহিনীর সদস্যরাও যারা আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করতে চাইছে তাদেরকে বলা হচ্ছে, নিজেদের নাম সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী এবং বিশেষ বাহিনীতে লেখাতে। এছাড়াও তাদেরকে আটক করে অনেককে হত্যা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকের আবার হালহদিশ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না, তাদেরকে কার্যত গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে আফগানিস্তান সরকারের দ্বারা। রিপোর্টে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই শতাধিক পুলিশ কর্মী এবং আশরাফ গনি সরকার এর পূর্বতন কর্মীদের মধ্যে অনেকেই আফগানিস্তানের এই সরকারের হামলায় নিহত হয়েছেন। অনেকের হদিস নেই। গত আগস্ট মাসে আফগানিস্তান দখল করার পর থেকেই সেদেশ নিয়ে সারা বিশ্বের উদ্বেগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।পরিস্থিতি এমন হয়ে গিয়েছে, আফগানিস্তানের জীবনদায়ী রসদ, খাদ্য সবকিছুই আস্তে আস্তে ফুরিয়ে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত। কিন্তু তার মধ্যেও জিহাদের রাস্তা ছাড়তে চাইছে না তালিবানরা।