ছোটবেলা থেকেই মহাকাশে যাওয়ার (Space Flight) স্বপ্ন দেখতেন তিনি। মহাকাশে গিয়ে তারাদের সঙ্গে কথা বলতে চান। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ ছাড়িয়ে ভারশূন্য অবস্থায় যেন রূপকথার জগতে পাড়ি। মানুষের এই কল্পনা বাস্তবে পরিণত হলে এরচেয়ে জীবনের আর কীই-বা পাওয়ার থাকতে পারে!
আমেরিকার নিউ মেক্সিকোর মরুশহর ট্রুথ অর কনসিকোয়েন্সের কিছু দূর থেকে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন (Richard Branson)। ভার্জিন গ্যালাক্টিকের মহাকাশযান ভিএসএস ইউনিটি বা ইউনিটি ২২ স্থানীয় সময় ৮ টা ৪০ নাগাদ পাড়ি জমালো মহাকাশের উদ্দেশ্যে। ৬ জন মহাকাশচারীর মধ্যে ছিলেন ২ জন পাইলট। এদের মধ্যে আবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মহিলা শিরীষা বান্দলা (Sirisha Bandala)। এই সফর কেবল এক ধনকুবেরের স্বপ্নপূরণ নয়, এরপর থেকে মহাকাশ পর্যটন শিল্পের এক নতুন দ্বার খুলে গেল মনে করছেন একাংশ।
এই মহাকাশ অভিযানের অভিজ্ঞতা কেমন? কী জানাচ্ছেন ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন? তিনি এক টুইট ভিডিওতে বলেছেন, "আজ মহাকাশে যাওয়ার এক সুন্দর দিন। ছোটবেলা থেকেই মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। আর আমি মনে করি, মহাকাশে যাওয়ার অধিকার সকলের রয়েছে।" প্রত্যাশা ছিলই সফর শেষে তিনি একটি বড় ঘোষণা করতে পারেন। তিনি জানিয়েছেন, ইউনিটি ২২ মহাকাশ পর্যটন শিল্পে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। আরও জানা গেছে, এ বছরই আরও দু'বার মহাকাশে যাত্রী পাঠানোর পরিকল্পনা আছে এই সংস্থার। পাশাপাশি আগামী বছর থেকে বাণিজ্যিক ভাবে মহাকাশ অভিযানের পরিকল্পনা আছে এই সংস্থার। বছরে অন্তত ৪০০ টি উড়ানের পরিকল্পনা আছে। ইতিমধ্যেই ৬০০-র বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। পৃথিবীর ৬০ টির বেশি দেশের মানুষ এই মহাকাশ উড়ানে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
রিচার্ড ব্র্যানসন তাঁর মহাকাশ অভিযানের অভিজ্ঞতায় বলেছেন, "১৭ বছরের প্রচেষ্টা সফল হল। ধন্যবাদ জানাই টিম ভার্জিন গ্যালাক্টিকের সকল সদস্যকে।" এই সম্পূর্ণ প্রচেষ্টার পেছনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মহিলার সাহচর্য বিশ্ববাসীর কাছে এক নতুন বার্তা এনে দিয়েছে। কল্পনা চাওলা, সুনীতা উইলিয়ামসের পর শিরীষা বান্দলা এক নতুন দিগন্তের দরজা খুলে দিল। ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসনের এই উদ্যোগকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আর এক মহাকাশ পর্যটনে রিচার্ড ব্র্যানসনের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইলন মাস্ক। যাঁর আবার ২০ জুলাই নিজের সংস্থার তৈরি রকেটে মহাকাশ অভিযানে যাওয়ার কথা।