মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য কোনো আসন থেকে লড়বেন? জয়নগরে প্রধানমন্ত্রীর ব্যঙ্গোক্তি ও মহুয়া মৈত্রের পাল্টা টুইট, সবকিছুকে ঘিরে এরকমই এক গুঞ্জন ছড়িয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। আর এইসব গুঞ্জনকে স্রেফ গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সহ সভাপতি যশবন্ত সিনহা। গতদিন তৃণমূল ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির তীব্র সমালোচনা করে তাদের হার নিশ্চিত বলে দাবি করলেন যশবন্ত।
তৃণমূল মুখপাত্র যশবন্ত সিনহা সাংবাদিকদের বলেন, "প্রথম দু’দফার ভোটে ফলাফল যে খুবই নিরাশাজনক হবে, তা বুঝে গিয়েছে বিজেপি। এইজন্যই গভীর রাতে মোদি-অমিত-নড্ডা মিলে বৈঠক করেছেন। হার যে নিশ্চিত তা আগাম বুঝতে পেরে এখন বিজেপি ইভিএম বদলের ষড়যন্ত্র করেছে! আমরা এসব রুখে দেব। আগামী ৬ দফা ভোটে আরও খারাপ হতে চলেছে ওদের ফলাফল।" মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্য কোনো আসন থেকে লড়ার কোনো প্রশ্নই নেই কারণ নন্দীগ্রামে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন তিঁনি। "এইসব গুজব ছড়াচ্ছে ভারতীয় ঝুট পার্টি", কটাক্ষ করে বলেন যশবন্ত।
গোপন সূত্রে খবর পান, গতকাল অনেক রাতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পার্টির সভাপতি নাড্ডাজির একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে যে সমস্ত রাজ্যে ভোট হচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলার ভোট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই দলীয় অভ্যন্তরীণ বৈঠকে প্রথম দু-দফায় যে খারাপ ফল হয়েছে সেসবও আলোচনা হয়েছে।
অসমের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, "অসমে কী হয়েছে, তা আমরা দেখেছি। রহস্যে এই যে, যেখানেই বিজেপি-র মনে হচ্ছে যে তাঁরা ভোটে হেরে যাবেন, সেখানেই তাঁরা ইভিএম বদল করে দিচ্ছেন। একটি ঘটনা ইতিমধ্যেই আমাদের সামনে এসেছে এবং এমন ঘটনা আরও ঘটবে। অসমেও হবে, বাংলাতেও হবে। তাই আমরা কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি, যতক্ষণ না ইভিএম স্ট্রংরুম বন্ধ করা হয়, ততক্ষণ সেখানেই থাকতে হবে। যাতে কেউ কোনোভাবেই রাস্তায় ইভিএম বদল করতে না পারে।"