ভোটের আগেই চমক, নিজের শাসনকালে রাজ্যে কতখানি সফলতার ছোঁয়া এসেছে, তা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ভবন থেকে 'রাজনৈতিক ইস্তাহার নয়, উন্নয়নের ইস্তাহার' স্লোগান দিয়েই রাজ্যের মানুষের জন্য ১০টি প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঠিক কী কী প্রতিশ্রুতি রইল তৃণমূলের ইস্তেহারে?
-
বছরে চার বার দুয়ারে সরকার (আগস্ট-সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বর-ডিসেম্বর)।
-
বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দেড় কোটি পরিবারের কাছে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে।
-
১৮ বছরের ঊর্ধ্বে জাত-ধর্ম নির্বিশেষে বিধবা ভাতা, এমনকি আগামী মে থেকে বিধবাদের মাসিক ভাতা বেড়ে ১,০০০ টাকা হবে।
-
বাংলার প্রতিটি পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে ১.৬ কোটি পরিবারকে মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি পরিবারকে বছরে ১২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এমনকি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে ৬,০০০ টাকা নয়, কৃষকদের বার্ষিক ১০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
-
ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, যাতে মিলবে ১০লক্ষ টাকা ঋন। চার শতাংশ সুদ দিতে হবে। গ্যারেন্টার লাগবে না।
-
মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট কার্যকর করতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স। মাহিষ্য, তিলি, তামুলি, সাহা, কিষাণদের ওবিসি ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
-
১০ লক্ষ এমএসএমই (MSME) ইউনিট গড়ে তোলা হবে। বড় শিল্পে ৫ লক্ষ কোটি বিনিয়োগ করা হবে।
-
৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হবে। বেকারত্বের হার কমিয়ে অর্ধেক করা হবে।
-
পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখার জন্য একটি বিশেষ উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হবে। পাহাড় এবং তরাই-ডুয়ার্সের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হবে।
-
১০ লাখ ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্পকেন্দ্র তৈরি করা হবে।
পাশাপাশিই মুখ্যমন্ত্রী পরিসংখ্যান খতিয়ে বলেন, "২০১১ সালে যখন তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছিল, তখন রাজ্যের আয় ছিল ২৫,০০০ কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে ৭৫,০০০ কোটি টাকা হয়েছে।" এমনকি বাংলার মানুষের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হয়েছে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।