মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়নে ত্রুটির অভিযোগ এনেছিল বিজেপির তরফে শুভেন্দু অধিকারী। আর অভিযোগকারী শুভেন্দু অধিকারী এবার নিজেই ফাঁসলেন 'ভুল ও মিথ্যা' তথ্য দেওয়ার অভিযোগে। এবার পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, "ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হোক বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর নাম। বাতিল হোক তাঁর প্রার্থীপদও।"
কিন্তু কেন? নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে শুভেন্দু ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ২১০ নম্বর নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার। যার সিরিয়াল নম্বর ৬৬৯। পার্ট নম্বর ৭৬। তবে এখানেই জটিলতার সৃষ্টি। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, নন্দীগ্রাম এবং হলদিয়া- দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই নাকি শুভেন্দুর নাম রয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন দাখিলের সময় নিজেকে নন্দীগ্রামের বাসিন্দা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন শুভেন্দু। এদিকে নন্দীগ্রামের ভোটার তালিকায় শুভেন্দুর নাম বৈধভাবে তোলা হয়নি বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। কাজেই, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে ‘ভুল ও মিথ্যা’ তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলল তৃণমূল। অভিযোগের পাশাপাশি তৃণমূল অভিযোগপত্রে স্মরণ করিয়ে দেয়, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার প্রমাণ মিললে এক বছরের কারাদণ্ড পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী হলদিয়ার ভোটার ছিলেন। তবে কয়েকদিন আগেই শোনা যায় তিনি নিজের নাম ট্রান্সফার করে নন্দীগ্রাম ভোটারদের তালিকায় নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, কিন্তু হলদিয়ায় কাটেননি নিজের নাম। পাশাপাশি এখানেও রয়েছে গলদ। ভোটার তালিকায় নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন ফর্মেও ‘মিথ্যা তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। প্রমাণ হিসেবে বিএলও বিজলি গিরিরায়ের সরেজমিন পরিদর্শনের রিপোর্টের কপি অভিযোগপত্রের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে তৃণমূল।
মনোনয়ন ও ভোটার তালিকায় কেন্দ্র পরিবর্তনের আবেদনপত্রে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনার আর্জি রয়েছে তৃণমূলের অভিযোগপত্রে। কাজেই ভোটের আগে ফের সরগরম রাজনৈতিক গোষ্ঠীদন্দ্ব। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী।