যাঁরা ভ্যালেনটাইন ডে পালন করতে চান, তাঁরা দল থেকে বেরিয়ে যান! সভার মাঝেই স্পষ্ট করে বলে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তবে কেন হঠাৎ এমন বার্তা? এ বিষয়ে আনন্দবাজারের তরফে জানা গেছে, গত রবিবার সারশুনা কলেজের মাঠে বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বুথ কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রথমদিকে সভা ঠিক মতোন নির্বিঘ্নে ঘটলেও বুথকর্মীদের সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাত্র-যুবদের উদ্দেশ্য বলছিলেন, "আমি ছাত্র-যুবদের বলবো, সব সম্মেলন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ছাত্র-যুবদের সম্মেলনটা এখনও বাকি রয়ে গিয়েছে।"
ওই মুহূর্ত যুব তৃণমূলের নেতা (উক্ত এলাকার) অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়, ছাত্র-যুব সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক করে পার্থবাবুকে জানানোর। সে সময় মঞ্চের সামনে থাকা কর্মীদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ ১২-১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্মেলন করার দাবি তোলেন, আর তাতে সায় দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বলেন,"তাহলে ১২ তারিখেই হবে সম্মেলন।"
এরপরেই ছাত্র-যুবদের একাংশের শুরু হয় টালবাহানা, এরপর ১২ তারিখের পরিবর্তে ১৩ তারিখ সম্মেলন রাখা হলেও, টালবাহানা কমেনি ছাত্র-যুবদের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এত শনিবার-রবিবার দেখার কী আছে? ছাত্ররা কি চাকরি করে নাকি, যে এত দিনক্ষণ আর পাঁজি দেখতে হচ্ছে?"
এরপরেই যুব তৃণমূলের নেতা (উক্ত এলাকার) অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলেন "দাদা, ১৩ আর ১৪ তারিখ ছাত্রদের পাওয়া যাবে না। কারণ, ১৪ তারিখে ভ্যালেনটাইন্স ডে।’’
এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে পার্থবাবু বলেন, "চাকরিও করবেন আবার ভ্যালেনটাইন্স ডে-ও করবেন? রাজনীতিও করবেন? আবার ভ্যালেনটাইন্স ডে-ও করবেন? যারা ভ্যালেনটাইন্স ডে করবেন, তাঁরা আগে দল থেকে চলে যান তো!’’
যদিও, এতে প্রথমে সামগ্রিক ক্ষিপ্ত হলেও পরে অবশ্য হেসে ওঠেন কর্মী-সমর্থকরা এবং স্বয়ং পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হাসিমুখেই বলেন, ‘‘ভ্যালেনটাইন্স ডে হোক। এমন অনেক ডে-ই আছে। সেটা ১৪ তারিখে। ১৩ তারিখে নয়। তাই ১৩ তারিখেই সম্মেলন হোক।"