নির্বাচন মিটতেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে নারদ মামলা। নারদ মামলায় অভিযুক্ত ৪ বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআইকে চার্জশিট পেশ করার অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়। এই ৪ বিধায়ক হলেন ববি হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। এঁদের মধ্যে প্রথম ৩ জন পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। চতুর্থজন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবারের নির্বাচনে দাঁড়ান নি।
উল্লেখ্য, এই তালিকায় নাম ছিল তৎকালীন তৃণমূলের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। অভিযোগ উঠেছিল শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই নারদ মামলায় তাঁর গুরুত্ব কমতে থাকে। এমনকি সিবিআইয়ের রাজ্যপালের অনুমোদনের চার্জশিটে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই। যদিও সিবিআই জানিয়েছে নারদ মামলা শুরুর সময় শুভেন্দু অধিকারী সাংসদ ছিলেন। ফলে তাঁর ক্ষেত্রে অনুমোদন দেবেন লোকসভার অধ্যক্ষ। এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে বাকি বিধায়কদের ক্ষেত্রে কি বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল? এ প্রশ্নের উত্তরে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কোনো চিঠি আসেনি। অবশ্য এখনও যেহেতু নতুন বিধান সভা গঠিত হয়নি, তাই এই অবস্থায় রাজ্যপাল অনুমতি দিতে পারেন। নতুন বিধান সভা গঠিত না হওয়ায় সিবিআই তৎপর হয়ে এমন কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের একাংশ।
২০১৪ সালে ম্যাথু স্যামুয়েল ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে গোপনে এই স্টিং অপারেশন করেছিলেন। ২০১৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তিনি সেই ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন তৃণমূলের তৎকালীন সংসদ কে ডি সিং টাকা দিয়েই গোপন অপারেশন করিয়েছিলেন। ঘটনার পর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয় এবং কোর্টের নির্দেশে এই মামলার দায়িত্ব নেয় সিবিআই। মোট ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তবে হঠাৎ এই ৪ জনের নামে চার্জশিট জমা পড়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্ব খাড়া করেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশ।