রাজ্যে করোনা সংক্রমনের বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত সর্বস্তরের মানুষ। একদিকে নির্বাচন অপরদিকে করোনা কাঁটা যেন পরস্পরের সমার্থক হয়ে উঠেছে। এমন অবস্থায় নির্বাচনের লোক জমায়েতে কোন প্রকার রাশ টানা যাচ্ছে না। কমিশনের কড়া নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জনসভায় কোন প্রকার করোনা বিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এমন অবস্থায় শুক্রবার নির্বাচন কমিশন একটি সর্বদল বৈঠক ডাকল বলে খবর। এই বৈঠকে বাকি ৪ দফার ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোন রদবদল করা যায় কিনা তার আলোচনা হতে পারে সূত্রের খবর।
১৬ এপ্রিল দুপুর ২ টোর সময় কমিশনের রাজ্য দপ্তরে এই বৈঠক বসবে। ১০ টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে প্রত্যেক দলের একজন করে প্রতিনিধিকে এই বৈঠকে আসতে বলা হয়েছে। তার পাশাপাশি এডিজি আইন শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্যসচিবকে ডাকা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি তাদের জনসমাবেশে কোন প্রকার কোভিড বিধি মানছে না বলে হাইকোর্টের একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রচারের সময় সমস্ত রাজনৈতিক দল গভীর ভাবে কোভিড বিধি মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। মাস্ক পরা, স্যানিটাইজারের ব্যবহার, সঠিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার মত বিষয়গুলিকে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বামদলগুলো এক দায়িত্বশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাম দলগুলোর তরফে জানানো হয়েছে বাকি ৩ দফা নির্বাচনে তাঁরা আর কোন বড় জমায়েত করবে না। অল্প সংখ্যক মানুষ নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচারে জোর দিতে চলেছেন তাঁরা। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। যদিও অন্যান্য দল করি এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমন অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের শুক্রবারে এই বৈঠকে কি আলোচনা হয় তা-ই এখন দেখার বিষয়।