সদ্য প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Banarjee) নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চূড়ান্ত। মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরেও এখনও মেটেনি রেশ। তবে এই ইস্যু নিয়ে আর কিছু বলতে চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাফ তিনি বললেন, ‘‘আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যাপ্টার ইজ ওভার।’’ উল্লেখ্য, গত শুক্রবার যশের ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনার পরেই হঠাৎই আলাপনবাবুকে দিল্লিতে সোমবার সকালে রিপোর্ট করতে বলা হলেও কেন্দ্র-রাজ্য দু'য়ের ডাকেই সাড়া না দিয়ে নিজের পদ থেকে অবসর নেন তিনি।
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ করা হয়। এরপরেই কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ সূত্রের দাবি, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে আলাপনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে ফৌজদারি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর ডাকা পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ না দিয়ে তিনি বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ভেঙেছেন। এই আইন ভাঙলে এক বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানারও বিধান রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা আইন আলাপনকে শো-কজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। আর এতেই ক্রমশ পারদ চড়েছে।
এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ তথা দলের যুব শাখার সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘উনি বাংলার মানুষের জন্য কাজ করছিলেন। যিনি কাজ করছিলেন তাঁকে কেন শো-কজ! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেই বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করা উচিত। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও। কমিশনের ব্যর্থতা। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ওই আইন প্রয়োগ হোক। দেশে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, প্রতি দিন লাখ চারেক বলে মারা যাচ্ছেন, সকলকে বাড়িতে থাকার কথা বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী তখন এ রাজ্যে এসে সভা করছেন। আর বলছেন, এত বড় সভা কখনও দেখিনি। ওর বিরুদ্ধে আগে ওই আইন প্রয়োগ হওয়া উচিত।’’