রামপুরহাটের (Rampurhat Clash, Rampurhat Incident, Rampurhat Fire) বগটুই-কাণ্ডে (Bogtui Village) উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। আজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে রামপুরহাট কাণ্ডে আহত এক মহিলার। ওই মহিলার শরীরের ৬০ শতাংশের বেশি অংশই পুড়ে গিয়েছিল। রামপুরহাট হাসপাতালেই কলকাতার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হল না। এই ইস্যুতেই আজও উত্তাল বিধানসভা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। শুরু হয় হাতাহাতি। এমনকি স্পিকারের সামনেই তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়করা একে অন্যের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন।
ঘটনায় বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ, মনোজ টিগ্গাকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনে তৃণমূল। এরপরই শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভর্ৎসনা করে স্পিকার বলেন, "বিধানসভা শুধু গন্ডগোল করার জন্য নয়। আপনারা অধিবেশন চলতে দিচ্ছেন না।"
শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কথা শেষ হতে না হতেই, তাঁকে মাঝপথে থামিয়ে স্পিকার আরও বলে ওঠেন, "আপনাদের নির্দিষ্ট সময় ছিল। সেইসময় আপনি আলোচনা করতে পারতেন। কিন্তু আপনি কোনওদিন তা করেননি। আপনি হাউজে এসেও কথা বলেননি। আপনি হাউজে উপস্থিত থেকেও, আইনের পথে না গিয়ে প্রতিদিন গন্ডগোল, বিক্ষোভ, অশান্তি করেছেন।" স্পিকারের এই মন্তব্য শেষ হতেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।
এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী সহ আরও বেশ কিছু বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। সাসপেন্ড হওয়া বিধায়কদের মধ্যে অন্যতম নরহরি মাহাত, মনোজ টিগ্গা, দীপক বর্মন, শঙ্কর ঘোষ।