আজ নেতাজির জন্মজয়ন্তীকে ঘিরে রাজ্য-কেন্দ্র রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। কে কাকে দোষ দেবেন, তাই নিয়েই চলছে তরজা। রাজ্যের ট্যাবলো বাদ যাওয়া নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। তবে সেই রেশ মিটতেই নেতাজির জন্মজয়ন্তী ঘিরেই চলল রাজ্য-কেন্দ্রের ভার্চুয়াল সংঘাত। আজ, রবিবার ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রেড রোডে নেতাজি মূর্তির পাদদেশে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee CM)।
আর সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নিশানা, "নেতাজি শুধু বাংলার নন, তিনি দেশের, তিনি গোটা বিশ্বের। বাংলায় যোজনা কমিশন গড়ে তোলা হবে। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ তৈরি করেছে। এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত লজ্জার। যাঁরা ধর্মের নামে দেশ ভাগ করতে চাইছেন, তাঁদের বলব দয়া করে নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ পড়ে দেখুন। ভাগাভাগি করে, দেশভাগ করে জাতীয়তাবাদ দেখানো যায় না। একটা অমর জ্যোতি নিভিয়ে দিয়ে, শুধু নেতাজির মূর্তি বসিয়ে সুভাষচন্দ্রকে শ্রদ্ধা জানানো যায় না।"
মুখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পরেই আর চুপ থাকতে পারলেন না শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে তাঁর বক্তব্য, “নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা কীভাবে জানাতে হয় তা মোদীজি দেখিয়ে দিয়েছেন।" এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমের সামনে শুভেন্দুর বক্তব্য, "কেউ বেলা বারোটার সময় জন্মদিন পালন করেন না। দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে এরকম হয়। প্রধানমন্ত্রী ভোর বেলা নেতাজির প্রতিকৃতিতে মালা দিয়েছেন।"