করোনা মহামারীর (covid-19 pandemic) তৃতীয় ঢেউয়ের সম্মুখীন দেশ। যার জেরে অনিশ্চিত একাধিক মেলা, উৎসব, সমাবেশ। তবে এই পরিস্থিতির মাঝেও কলকাতা বইমেলার (Kolkata book fair) আশা জিইয়ে রাখলেন বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলারস গিল্ড (Publishers & Booksellers Guild)। বইমেলার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে লটারির মাধ্যমে স্টল বণ্টন সম্পন্ন করলেন তাঁরা। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার শেষ হয় মেলা প্রাঙ্গনের ৬০০-র বেশি স্টল বণ্টনের কাজ। সরকারি নির্দেশিকা পাওয়ার আগেই বেশ কিছুটা কাজ এগিয়ে রাখলেন তাঁরা। নির্দেশিকা পেলেই জোর কদমে শুরু হবে কাজ।
উল্লেখ্য, আগামী ৩১ জানুয়ারি শুরু হওয়ার কথা ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গনে চলবে এই মেলা। তবে করোনার সাম্প্রতিক চোখ-রাঙানিতে সেই মেলা কতদুর বাস্তবায়িত করা যাবে, সে নিয়ে রয়েই যাচ্ছে আশঙ্কা। তবে সেই আশঙ্কার মাঝেও আশার আলো দেখছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ গিল্ড।
এবারের মেলার জন্য একাধিক বিধিনিষেধ এবং নির্দেশিকার কথা মাথায় রেখেই এগোচ্ছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলারস গিল্ড। মেলা প্রাঙ্গনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কমিয়ে দেওয়া হয়েছে স্টলের ক্ষেত্র। ১০০ বর্গফুটের স্টলের ক্ষেত্র কমিয়ে ৬৭ বর্গফুট করা হয়েছে। ১৬০০ ফুটের স্টলগুলি ছোটো করে করা হয়েছে ১০৫০ বর্গফুট। পাশাপাশি অনেক জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে। বানানো হয়েছে করোনা নির্দেশিকা-বান্ধব মেলাপ্রাঙ্গনের ম্যাপ। এরপরেই লটারির মাধ্যমে শুরু হয় স্টলের টিকিট বণ্টন। মঙ্গলবার শেষ দফায় প্রায় ২৫০ টি স্টল বিলি করার সাথে সাথে শেষ হয় স্টল বণ্টন প্রক্রিয়া।
তবে এখনও পর্যন্ত মেলায় বণ্টন করা হয়নি ইংরাজি, হিন্দি-সহ অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা এবং ভিনরাজ্যের প্রকাশকদের স্টল। এবিষয়ে গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়য় বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারের তরফ থেকে কোনও নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত প্রাঙ্গন তৈরির কাজ থেকে বিরত থাকছেন তাঁরা। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আসা ৪১ জন প্রকাশকের স্টলের স্থানের জন্যও অপেক্ষা করছেন তাঁরা। গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে’র কথায়, বর্তমানে তাঁদের কাজের অনেকটাই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে কেবল মেলা প্রাঙ্গন তৈরির কাজ। তিনি জানান, মেলা প্রাঙ্গনে থাকবে মোট ৯ টি গেট। মেলা প্রাঙ্গনের ম্যাপও তৈরি। প্রাঙ্গনের কাজ শুরু না হলেও খাতা-কলমের কাজগুলি সেরে রাখছেন তাঁরা।