তৃণমূল ছাড়ছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)! শুক্রবার এমনই জল্পনায় উত্তাল ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। যদিও তার কারণ হিসেবে ছিল দেবাংশুর দু' বছরের পুরনো এক পোস্ট। কী সেই পোস্ট? সময়টা ২৭ মে ২০১৯, দেবাংশু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, 'পাল্টি খাওয়া দলবদলুদের ২০২১-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দলে ফেরানো হলে তিনি অন্য দলকে সমর্থন করবেন।' আর এই পোস্টটি আচমকাই ভাইরাল হয় ঠিক তখন, যেদিন মুকুল রায় চার বছরের মাথায় বিজেপি ছেড়ে নিজের পুরনো দল তৃণমূলে ফিরলেন। যদিও ভাইরাল হওয়া পোস্টে কেন্দ্র করে সেই দিনই বিবৃতি দিয়েছেন দেবাংশু।
তবে তৃণমূল ত্যাগ প্রসঙ্গ নিয়ে দেবাংশুর দাবি, 'তাঁর ওই পোস্টটি কোনওভাবেই মুকুল রায় সম্পর্কে ছিল না। কারণ, তিনি ২০১৭ সালেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। লোকসভা ভোটে বিজেপির সাফল্য কোনওভাবেই তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেনি। তাই ২৭ মে-এর পোস্টে পাল্টি খাওয়া দলবদলুদের বলতে দেবাংশু যাদের বুঝিয়েছিলেন মুকুল রায় সেই দলে পড়েন না। শুধুমাত্র তৃণমূলের এক সাধারণ সমর্থকের মান অভিমান ছিল সেদিনের পোস্ট। তখনও আমি তৃণমূল সদস্য ছিলাম না। ৪ জুন ২০১৯-এ আমি সরকারিভাবে তৃণমূল সদস্য হই। তাই তাঁর আগের করা মন্তব্যের দায় এখন আমার নয়।'
উল্লেখ্য, আজ সকালেই দেবাংশু বলেন, "আমায় অনেকটা ঋণী করে ফেলেছেন আপনারা। না কোনো পেইড বুস্ট, না প্রতি ভিডিওর শেষে পেজ ফলো করতে বলা, না চাইতেও ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন আপনারা। গত ২০২০-র এপ্রিলে মাত্র কুড়ি হাজার ফলোয়ার থাকা একটা পেজ আজ মাত্র ১৩ মাসে ৮ লক্ষে। আমি কৃতজ্ঞ, আপ্লুত, ঋনী। আমার নতমস্তক প্রণাম নেবেন।"
তবে এর মাঝেই আজ শ্রীলেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবাংশুর একটি ভিডিও পোস্ট করে বললেন, "ইউথ আইকন নাকি? কার্টুন ক্যারেক্টর তো পুরো।" পাশাপাশি ভিডিওতে দেবাংশুকে প্রথমে বলতে শোনা যাচ্ছে,"মুকুল রায়, তিনি ২০১৭ সালেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। লোকসভা ভোটে বিজেপির সাফল্য কোনওভাবেই তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেনি। তাই তাঁর ক্ষেত্রে কথা গুলো মেনে নেওয়া যায়নি।" এরপরেই ওই ভিডিওতে দেবাংশুকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "এই মুকুল যা, আরও জোরে যা বলতে হবে। যাতে ভিতর থেকে ঘৃণা বেরিয়ে আসে বেইমানদের প্রতি।" আবার পরবর্তীতেই মুকুল প্রসঙ্গে দেবাংশু বলেন, "তাঁকে বেইমান বলা যায় না।" এই ভিডিও পোস্ট করেই শ্রীলেখা ভিডিওর শেষে আরও জুড়ে দেন, "আমি আর ভিডিও বানিয়ে দেবুদার পিছনে কাঁথি করব না কারন, মরা মুরগি মারলে বীরত্বের প্রমান পাওয়া যায় না।"