বঙ্গ রাজনীতিতে দুদিন যাবৎ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর 'আলবিদা' জানানো ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। বিজেপির সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি সমগ্র রাজনৈতিক জীবন থেকেই ছুটি নিতে চেয়েছেন তিঁনি। দলবদলের জল্পনাকে শুরু থেকেই উড়িয়ে দেবার জন্য স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম, কোনো রাজনৈতিক দলেই যোগ দেবেননা তিঁনি। এর পরেও দেখা যায় অন্য দলে যোগ দেওয়ার সাথে সম্পর্কিত ওই বিশেষ লাইনগুলি মুছে দেন তিঁনি। তাতে জল্পনা আবার দানা বাঁধে। পরে আবারও স্পষ্ট করে টাইমলাইনে লেখেন, "আমি সংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি, এই লাইনটা জুড়তে গিয়ে অরিজিনাল লেখাটা থেকে একটা গুরুত্বপূর্ণ লাইন মুছে গিয়েছিল"। আবারো লেখার শেষে উল্লেখ করেন তিনি কোনো রাজনৈতিক দলেই যোগ দিচ্ছেন না। এসবের পরেও তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্যকে একেবারেই খাটো করে দেখছেনা রাজনৈতিক মহল।
বাবুলের বিজেপি তথা রাজনীতির ময়দানকে 'অলবিদা' জানানোর প্রসঙ্গে মুখ খোলেন সৌগত রায়। তিঁনি বলেন, "বাবুলের সঙ্গে গতকাল কথা হয়েছে আমার। বিধানসভা নির্বাচনে ও হেরে গিয়েছে বলে মন্ত্রিসভা থেকে ওকে পুরোপুরি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাবুলের সঙ্গে অন্যায় করেছে বিজেপি। দলের ভেতরেও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ওর সমস্যা তৈরি হয়েছিল। দল ওর সঙ্গে মোটেও সুবিচার করেনি। ও তো রাজনীতির লোক নয়, কিন্তু আমরা যেমন জেতার মধ্যে দিয়ে রাজনীতি ধরে রাখি। ওর সেই স্ট্যামিনা নেই। আমি ওকে বলেছিলাম রাজনীতি না ছাড়তে। তবে আমার মনে হচ্ছে না বাবুলকে আর ধরে রাখা যাবে। কিন্তু কেউ দলে যোগ দেবেন কি না বা তাঁকে দলে নেওয়া হবে কি না তা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন।" সৌগতর এহেন বক্তব্যকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। এতকিছুর পরেও বাবুল সুপ্রিয় ফুল বদলান কিনা, সেটাই দেখার।