মঙ্গলবার প্রকাশিত হল বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য তালিকা। সব মিলিয়ে ২৩০ জনের লম্বা সূচি। আর সূচিতে চমক হিসাবেই নাম রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অনুমোদন দেওয়ার পর দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সূচি ঘোষণা করেন। এই সূচিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা রাজ্যের প্রাক্তন এই মন্ত্রীর নামের পাশে পদ হিসাবে শুধুই "স্থায়ী আমন্ত্রিত" লেখা। এই বিষয়ে বিজেপির পক্ষে সায়ন্তন বাবু বলেন, “সব সাংসদ বিধায়করা রয়েছেন কর্মীসমিতিতে। উনিও বিধায়ক হিসাবেই আছেন। স্থায়ী আমন্ত্রিত হিসাবে আছেন বলে অন্য সদস্যদের সাথে ওনার কোনো প্রভেদ আছে তেমন নয়।”
গত বছর ১৪ আগস্ট দিল্লিতে দিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন এবং ওঁর স্ত্রী বৈশাখী। মজার বিষয় ওই শুরু ওই শেষ। কখনই রাজনৈতিক ময়দানে সরাসরি বিজেপির হয়ে প্রচার করতে দেখা যায়নি শোভনকে। এমনকি রাজ্য বিজেপির দপ্তরেও গেছেন মাত্র একবার, একবছর আগে। সেটাও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্বর্ধনা নিতে। উল্টে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেখা গেছে ওঁকে। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাই ফোঁটাতেও গেছেন উনি। ফলে রাজনৈতিক মহলে ধারনা ছিল আবার হয়তো তৃণমূলের দিকে ফিরে আসবেন শোভন। কাল বিজেপি প্রকাশিত তালিকায় শোভন বাবুর নাম তাই আলোড়ন ফেলেছে রাজনৈতিক শিবিরে।
আর এই আলোচনা আরও বেড়ে যাচ্ছে কমিটিতে ঢোকার পর শোভন বাবুর দেওয়া বয়ানে। উনি স্পষ্ট বললেন, "এই বিষয়ে আমার সাথে কেউ কোন আলোচনা করেননি। সংবাদমাধ্যম থেকেই জানছি সবটা। আমি আমার অবস্থান খুব পরিস্কার জানিয়েছিলাম দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের। আর একটা বিষয় সংবাদমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে দলের খবর জনগন পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া যায় কিন্তু দল চালানো যায় না। সংবাদমাধ্যম দলের অভ্যন্তরীণ কাজকর্ম পরিচালনা করবে সেটা হয় না।" স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে এই ২৩০ জনের সূচিতে অন্তর্ভুক্তিতে তিনি খুশি নন।