ভবানীপুরের উপনির্বাচন (Bhwanipur Bypoll) যতই এগিয়ে আসছে রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ ততই বাড়ছে, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandyopadhyay) বাড়ির অদূরে বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন নবনিযুক্ত রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ (Sukanta Majumdar) একাধিক বিজেপি নেতা। যা নিয়ে তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়। এবার এই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল কালিঘাট থানার পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৫, ১৪৭, ১৪৯, ২৮৩ এবং ৩৫৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, গতকাল আচমকাই দলীয় কর্মী মানস সাহার মৃতদেহ নিয়ে মিছিল শুরু করে বিজেপি। বুধবারই এক নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় মানস সাহার। অভিযোগ, ৩ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। মাথায় গুরুতর আঘাত পান। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। আবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এই ঘটনার পর দীর্ঘদিন তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আর বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা, যদিও আচমকাই মৃত মানস সাহার দেহ নিয়ে মিছিল বের করে বিজেপি। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিজেপির নবনিযুক্ত সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ভবানীপুর উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, সাংসদ অর্জুন সিং, জ্যোতির্ময় মাহাতো-সহ আরও অনেকেই। মিছিল পৌঁছে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছাকাছি। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। এই ঘটনায় কালিঘাট থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করল বলে খবর।
গত বিধানসভা নির্বাচনে মগরাহাট পশ্চিমের বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন মানস সাহা। ভোটের ফলাফলের দিন তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে বিজেপির অভিযোগ। আর তার জেরেই মানস বাবুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি। এই বিক্ষোভের চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কালিঘাট চত্বরে। এই ঘটনায় কালিঘাট থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করল বলে খবর। এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কোন প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।