সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স করে টলিউডের অভিনেত্রী এবার রাজনীতির ময়দানে। গত ৩ মার্চ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখপাধ্যায়, ব্রাত্য বসুর মতো মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই নিয়মমতোন নিজের সম্পত্তির হলফনামা জমা দিতেই চোখে এল নতুন তথ্য। উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তৃমমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা। আর সেই সঙ্গে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর বিষয়-আশয়ের খতিয়ান।
সেই হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ সালে সায়ন্তিকার আয়ের পরিমাণ ছিল ১৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৮০ টাকা। ২০১৭-১৮-তে অর্থবর্ষে ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৫২০ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আয় ৩৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯০ টাকা।২০১৯-২০ আর্থিক বছরে সায়ন্তিকার মোট আয় ২২ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৮০ টাকা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় হাতে নগদ ছিল ৪৩ হাজার ১২৭ টাকা। জয়েন্ট ও নিজের মিলিয়ে হলফনামায় ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী। যেগুলিতে জমা আছে মাত্র ৩৮ হাজার ৪৬৩ টাকা।
এরপরেই দেখা মিলেছে, একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণে একপ্রকার জর্জরিত বাঁকুড়ার প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ব্যাঙ্কে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে একাধিক ঋণ নেওয়া রয়েছে। ICICI- ব্যাঙ্কে সায়ন্তিকার নেওয়া ১৪ হাজার ৯৭ টাকার একটি পার্সোনাল লোন রয়েছে।
পাশাপাশি সায়ন্তিকা একটি মার্সেডিজ বেঞ্জ কিনেছিলেন, যার দাম ৪৩ লক্ষ, ৫৬ হাজার, ৪৩৬ টাকা। এই গাড়ি কেনার সময় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে হয় সায়ন্তিকাকে। HDFC- ব্যাঙ্কে সায়ন্তিকার নামে ১৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৮৯১ টাকার কার লোন রয়েছে। বন্ড, শেয়ার, এনএসএস বা মিউচুয়াল ফান্ডে কোনও বিনিয়োগ করেননি সায়ন্তিকা।
পাশাপাশি HDFC- ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডে ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৩৩ এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা ৩৯৭ টাকা ধার রয়েছে সায়ন্তিকার। এই মুহুর্তে এক লক্ষ ২৩ হাজার ৪৩৬ টাকার গয়না রয়েছে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বর্তমানে সায়ন্তিকার নগদ টাকার পরিমাণ ৪৩ হাজার, ১২৭ টাকা। বন্ধন ব্যাঙ্কে ৩৪ হাজার ৭৯৬ টাকা ও ICICI ব্যাঙ্কে ২৭৭ টাকা রয়েছে।
তবে তারকা প্রার্থীর মাথার ওপর আছে ৪০ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৪০ টাকার ঋণের বোঝা। হলফনামায় তৃণমূল প্রার্থী জানিয়েছেন, তাঁর নামে কোনও ফৌজদারি মামলা নেই।