দুপুরবেলায় ঘোষণা করেছিলেন তিনি নাকি বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন। হয়তো রাগে ক্ষোভে বা অন্যান্য কারণবশত হতে পারে কিন্তু বলেছিলেন তিনি ইস্তফা দেবেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের থেকে একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে রাত্রে তিনি মন্তব্য করলেন, তিনি এখনই সরছেন না। এখানে তিনি হলেন বিজেপির বর্তমান যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। যদিও এই প্রথম নয় এর আগেও তিনি দুবার যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু তারপর আবার ফিরে গেছিলেন নিজের পরিচিত জায়গায়। প্রথমে বুধবার দুপুরে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি ঘোষণা করে দেন তিনি ইস্তফা দিতে চলেছেন। তার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তিনি জানিয়েছিলেন ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত তিনি প্রত্যাহার করেছেন, দলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন তিনি। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি শুভ বুদ্ধির উদয় হলো কি করে? সেটাই এখন রাজনৈতিক মহলের প্রধান জানার ইচ্ছা।
ফেসবুকে একটি নতুন পোস্ট করে সৌমিত্র খাঁ লিখলেন, " বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষ, অমিত শাহজি এবং তেজস্বী সূর্যজির নির্দেশ আমি পালন করছি এবং তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আমি আমার পদত্যাগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।" যদিও, উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তিনি কিন্তু তখনও পর্যন্ত রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠান নি। তাই, অনেকের সন্দেহ ছিল তিনি কি দোনোমনায় কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাকি না। এভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে পদত্যাগ করা বিজেপির আবার সাংগঠনিক সংস্কৃতির পরিপন্থী। কিন্তু, পরপর তিনবার এই একই রকম ঘটনা ঘটলো। একবার তিনি বললেন পদত্যাগ করবেন, পরমুহূর্তেই আবার বললেন নিজের জায়গাতেই ফিরে আসছি। এরকমভাবে বারবার একই রকম ঘটনা ঘটে আসায় রাজনৈতিক মহলে তরফ থেকে বিভিন্ন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকে মনে করছেন, সৌমিত্র খাঁ মনে মনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবার বাসনা রেখেছিলেন। কিন্তু দুপুরের পরেও যখন তার কাছে কোন ফোন এলো না দিল্লি থেকে, তখনই তিনি নিজের অসন্তোষ তুলে ধরেন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। পাশাপাশি দিলিপ ও শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেন। কিন্তু এত কিছু ঘটার পরেও শেষ পর্যন্ত সমস্ত রাগ গলে জল হয়ে গেল এদিন সন্ধ্যায়।