'বন্ধু এবার খেলা হবে' এই স্লোগান তুলেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাজিমাত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তবে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee, CM) বসলেও, হারের মুখ দেখেছেন বহু তারকা প্রার্থী। তেমনই অবিশ্বাস্যকর পরাজয় হয়েছিল আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh)। তবে ভোটে অবশ্যই হার, জিত থাকবে। আর সেটা মাথায় রেখেই পরাজয়ের পরেও এক মুহূর্তের জন্য থেমে থাকেনি সায়নী। করোনা, যশকে উপেক্ষা করেই নিজের কেন্দ্রে কাজ করে গিয়েছেন।
সায়নীর পরিশ্রম এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তির জন্য তাঁর কাঁধে সংগঠনের বড় দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। যুব তৃণমূলের সভানেত্রী পদে বসানো হয়েছে তাঁকে। শনিবার সেই দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আরও বেশি কাজ শুরু করে দিলেন সায়নী। দুপুরে তৃণমূল ভবনে গিয়েই বলে দিলেন, ”২০২৪-এ লড়াই নয়, বড় খেলা হবে।”
এদিন দুপুরে সায়নী নিজের কাজ বুঝে নিতে তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। সদ্যপ্রাক্তন সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। অভিষেকের থেকেই সমস্ত কাজ বুঝে নেবেন সায়নী। এরপরেই ময়দানে নামবেন তিনি।
এছাড়াও একটি সংবাদমাধ্যমকে একান্ত সাক্ষাৎকারে সায়নী বলেন, "এত গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে আমার তো আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা! এই গুরুদায়িত্ব দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। নিজের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। অভিনয়েও এসেছিলাম কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া। কাজ করতে করতে শিখেছি। এখানেও ধীরে ধীরে শিখে যাব সব কিছু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝেছেন, আমাকে দিয়ে যুব সংগঠনের কাজ সফল করা সম্ভব। আমাকে দেখে কমবয়সি ছেলেমেয়েরা রাজনীতিতে আসবেন।"
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই জেলাস্তরের যুব সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন সায়নী।