কলকাতা পুরভোটের (Kolkata Municipality Election) তালিকা প্রকাশের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে চরম অস্বস্তি। যার জের এবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও প্রকাশ্যে এল। ভার্চুয়াল বৈঠকে নিজের চরম অস্বস্তির কথা জানিয়ে বৈঠক থেকে সটান বেরিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি (Roopa Ganguly)। তারপরেই ফেসবুকে উগরে দিলেন দলের বিরুদ্ধে চরম অস্বস্তির কথা। যা নিয়ে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় দল।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? আসন্ন পুরভোট ঘিরে বিজেপির ভার্চুয়াল বৈঠক চলছিল। দিল্লি থেকে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন ও বর্তমান সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদার। তাছাড়া এই বৈঠকে বিজেপির আরও কয়েক জন উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি। বৈঠক চলাকালীন হঠাৎ-ই মতানৈক্যের অভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তিনি। আর তারপরেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কেন বৈঠক ছেড়ে চলে যান রূপা গাঙ্গুলি তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ফেসবুকের পোস্ট থেকে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা বিজেপির প্রার্থী পদ নিয়ে চরম অস্বস্তির কারণেই তিনি বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান।
গোলমালের সূত্রপাত কলকাতা পুরসভার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ড ঘিরে বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। এই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের অকাল প্রয়াণের পর তাঁর স্বামী গৌরব বিশ্বাসের প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রার্থী পদ ঘোষণার পরেই তাঁর নাম না দেখে গৌরব বিশ্বাস নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। আর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলের বিরুদ্ধে। আর এই অস্বস্তিই রূপা গাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। ফেসবুকে রূপা গাঙ্গুলি বলেন, তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যু খুন। গোটা বিষয়টি পরিষ্কার। আর এরপরেই বিজেপির অন্দরে চরম অস্বস্তি।
উল্লেখ্য, কেবল ৮৬ নম্বর ওয়ার্ড নয়। আরও কয়েকটি ওয়ার্ডের প্রার্থী পদ নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডেও বিজেপির অন্দরে চরম অসন্তোষ। এই ওয়ার্ডে বিজেপির যুবনেতা চন্দ্রশেখর বাসোটিয়ার প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বাস্তবে তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি। এরফলে এদিন তিনি পার্টি অফিসের সামনে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে খবর। তবে রূপা গাঙ্গুলির এমন আচরণের পর দলের অন্দরে যে চরম অসন্তোষ, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।